শেষ চারের পথ খোলা মুম্বাইয়ের

জিতলে শেষ চারের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া, আর হারলে শেষ চারের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকেই যাওয়া। এমন সমীকরণ নিয়ে গ্রুপ পর্বে নিজেদের ১৩ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে রাজস্থানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল মুম্বাই।

আজকের ম্যাচে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে এখনো শেষ চার নিশ্চিত করতে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে মুম্বাইকে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে জিতলেও শেষ চারে যাওয়ার জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচের দিকে।

এই ম্যাচে কলকাতাও জয় পেলে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে শেষ চারে। কলকাতা হারলে মুম্বাই চলে যাবে শেষ চারে। তবে আজ হারলেও শেষ চারের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি রাজস্থানের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুম্বাই হারলে ও রাজস্থান জয় পেলে মুম্বাই, রাজস্থান আর কলকাতার পয়েন্ট হবে সমান। সেক্ষেত্রে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে শেষ চারে।

তবে আজ জিতলে সমীকরণটা অনেক সহজ হয়ে যেত রাজস্থানের জন্য। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজস্থান। এই রান নিয়ে বোলাররাও লড়াই করতে পারেনি। রান তাড়া করতে নেমে ৭০ বল হাতে রেখে সহজেই জয় পায় মুম্বাই।

দলের পক্ষে ২৫ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইশান কিশান। এছাড়া রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২২ রান। রাজস্থানের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন চেতন সাকারিয়া ও মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও জয়স্বী জয়সওয়াল সাবধানী শুরু করেন। তবে দুই ওপেনারের কেউই বেশিদূর যেতে পারেননি। ৯ বলে ১২ রান করা জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নাথান কোল্টার নাইল।

এরপর আরেক ওপেনার লুইসকে ফিরিয়ে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। লুইসের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৪ রান। ৪১ রানে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর রাজস্থানের ইনিংসে জোড়া আঘাত হানেন জিমি নিশাম। এই পেসার সপ্তম ওভারে সাঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর নবম ওভারে ফিরিয়ে দেন শিভাম দুবেকে।

দু’জনের ব্যাট থেকেই আসে ৩ রান করে। ৪৮ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর দশম ওভারের চতুর্থ বলে গ্লেন ফিলিপস কুল্টার নাইলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে গেলে ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজস্থান।

এরপর বুমরাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে শ্রেয়াস গোপাল (০) ও নিশামের তৃতীয় শিকার হয়ে রাহুল তেওয়াতিয়া (১২) ফিরে যাওয়ার পর নিশামের জোড়া আঘাতে চেতন সাকারিয়া ও ডেভিড মিলার ফিরে গেলে ৮২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে রাজস্থান।

২৩ বলে ১৫ রান আসে মিলারের ব্যাট থেকে। এরপর শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমানের ৭ বলে ৮ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। মুম্বাইয়ের পক্ষে নাথান কোল্টার নাইল তিনটি, জেমি নিশাম তিনটি ও জাসপ্রিত বুমরাহ দুটি উইকেট শিকার করেন।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

রাজস্থান রয়্যালস: ৯০/৪ (ওভার: ২০; লুইস- ২৪, জয়সওয়াল- ১২, স্যামসন- ৩, দুবে- ৩, ফিলিপস- ৪, মিলার- ১৫, রাহুল- ১২, সাকারিয়া- ৬, মুস্তাফিজুর- ৮*) (নাইল- ৪-০-১২-৪, নিশাম- ৪-০-১২-৩, বুমরাহ- ৪-০-১৪-২)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ৯৪/২ (ওভার: ৮.২; শর্মা- ২২, কিশান- ৫০*, যাদব- ১৩, পান্ডিয়া- ৫*) (মুস্তাফিজুর- ২.২-০-৩২-১, সাকারিয়া- ৩-১-৩৬-১)

ফলাফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৮ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link