বিশ্বকাপের মঞ্চ মানেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর সবচেয়ে বড় সুযোগ। আর সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন আইরিশ তরুন পেসার কার্টিস ক্যাম্পফার। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গড়েছেন অনন্য এক কীর্তি। চার বলে চার উইকেট শিকারের এই অনন্য তালিকায় যোগ করেছেন নিজেকে।
অবশ্য এই তালিকায় তিনিই প্রথম নন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিসহ এই তালিকায় এখন আছেন মোট তিন জন। কার্টিস ক্যম্পফারকে বাদ রাখলে বাকি দু’জন কিন্তু নিজেদের কাজে রীতিমত কিংবদন্তি। কারা তারা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- কার্টিস ক্যাম্পফার (আয়ারল্যান্ড)
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই এক অনন্য রেকর্ডে নাম লেখান আইরিশ পেসার কার্টিস ক্যাম্পফার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ও আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন তিনি।
শুধু হ্যাটট্রিক করেই যে ক্ষান্ত হননি এই পেসার! করেছেন চার বলে চার উইকেট শিকারের অনন্য কীর্তি। রশিদ খান ও লাসিথ মালিঙ্গার পর তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে চার বলে চার উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন এই আইরিশ পেসার। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম!
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বাজিমাত করেন ক্যাম্পফার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে ১২ রান দেন ক্যাম্পফার। এরপর দলীয় ১০ম ওভারে বল করতে এসেই গড়েন সেই অনন্য রেকর্ড। টানা চার বলে কলিন অ্যাকারম্যান, রায়ান টেন ডেসকাট, স্কট এডওয়ার্ডস ও রুলফ ভ্যান ডার মারউইকে ফেরান ক্যাম্পফার।
- লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শিকার করেছিলেন চার বলে চার উইকেট। তবে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম এই কীর্তি গড়েন রশিদ খান। একই বছর ২০১৯ সালে পাল্লেকেলেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে চার বলে চার উইকেট শিকার করেন এই লঙ্কান গ্রেট।
কলিন মুনরো, হামিশ রাদারফোর্ড, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও রস টেলরকে টানা চার বলে শিকার করে এই কীর্তি গড়েন তিনি। একমাত্র বোলার হিসেবে দুইবার টানা চার বলে চার উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন মালিঙ্গা!
- রশিদ খান (আফগানিস্তান)
২০১৯ সালে দেহরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে চার বলে চার উইকেট শিকার করেন আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার ও একমাত্র স্পিনার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন রশিদ।
নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শিকার করেন কেভিন ও’ব্রায়েনকে। এরপর তৃতীয় ওভারে এসে পর পর দুই বলে জর্জ ডকরেল ও শেন গেটাকের উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক! পরের বলেই সিমি সিংকে ফিরিয়ে টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েন এই আফগান সেনসেশন। অবশ্য খুব বেশি সময় এই রেকর্ডে একক রাজত্ব করতে পারেননি তিনি! ওই বছরই এই রেকর্ডে নাম তুলেন লঙ্কান গ্রেট লাসিথ মালিঙ্গা।