আবার সেই শ্রীলঙ্কা

নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মূল পর্বে পা দিলো লঙ্কানরা।

নেদারল্যান্ডসের জন্য লক্ষ্য ছিলো শেষ ম্যাচটা জিতে ভালোভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করা। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার সামনে তিন জয় নিয়ে অপরাজিত থেকে দাপট দেখিয়ে মূল পর্বে যাওয়া ছিলো লক্ষ্য। তবে শারজাহতে একপেশে ম্যাচই দেখলো ক্রিকেটভক্তরা। লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নেদারল্যান্ডস।

মাত্র ৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাথুম নিসাঙ্কাকে হারায় লঙ্কানরা। ব্রেন্ডন গ্লোভারের শিকার হয়ে নিসাঙ্কা ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল পেরেরার সাথে জুটি গড়েন চারিথ আসালঙ্কা। আগের দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ পেরেরা অবশ্য এই ম্যাচে জ্বলে উঠেন। দলীয় ৩১ রানে আসালঙ্কা ৬ রানে ফিরলেও কুশল পেরেরার দাপটে ১২.৫ ওভার বাকি থাকতে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। আভিস্কা ফার্নান্দোকে সাথে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান পেরেরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পেরেরা অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৩১ রানে! নেদারল্যান্ডসের পক্ষে মিকিরেন ও গ্লোভার ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাহিশ থিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার ম্যাজিকেল বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ডাচ ব্যাটিং শিবির। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। লঙ্কান দুই স্পিনারের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কেউই! হাসারঙ্গা-থিকশানার দাপুটে বোলিংয়ের পর দশম ওভারে লাহিরু কুমারার ৩ উইকেট শিকারে মাত্র ৪৪ রানেই গুড়িয়ে যায় নেদারল্যান্ডস! ইনিংসের ১০ ওভারেই থামে ডাচদের ইনিংস। দলের পক্ষে একমাত্র কলিন অ্যাকারম্যান দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারে। সর্বোচ্চ ১১ রান করেন তিনি। লঙ্কানদের পক্ষে হাসারঙ্গা ৯ রানে ৩ টি, কুমারা ৭ রানে ৩ এবং থিকশানা মাত্র ৩ রানে নেন ২ উইকেট।

নেদারল্যান্ডসের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই মাত্র ৩৯ রানে ডাচদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের তালিকার প্রথম দুই নামই ডাচদের!

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

নেদারল্যান্ডস – ৪৪/১০ (১০ ওভার) (কলিন অ্যাকারম্যান ১১(৯), বেন কুপার ৯ (৮), স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ৮(১৩); হাসারঙ্গা ৩-০-৯-৩, কুমারা ৩-০-৭-৩, থিকশানা ১-০-৩-২)।

শ্রীলঙ্কা – ৪৫/২ (৭.১ ওভার) (কুশল পেরেরা ৩৩(২৪)* , আসালঙ্কা ৬(১০); গ্লোভার ৩-০-১২-১, ভ্যান মিকিরেন ২-০-২০-১)।

ফলাফলঃ শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্যা ম্যাচঃ লাহিরু কুমারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link