ওয়ান্ডারার্সে ভারতের বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ২৭ রানের বেশি কিড নিতে পারেনি ঠাকুরের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ২২৯ রানেই গুড়িয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ক্যারিয়ার সেরা ৬১ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এরপরই ঠাকুর জানিয়েছেন কেন তাঁকে ‘লর্ড ঠাকুর’ ডাকা হয়।
জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ কিংবা তাঁর বেশি উইকেট শিকার করেন শার্দুল। একই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারতীয় বোলার হিসেবে সেরা বোলিং ফিগার নিজের নামে করেন তিনি। ঠাকুরের দাপুটে বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২৯ রানে গুড়িয়ে দেওয়ার পর বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে ২০২ রান করতে সমর্থ হয় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ফিফটির দেখা পান কিগান পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমা। অপরদিকে ঠাকুর ৬১ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৭ ও মোহাম্মদ শামি ৫২ রানে শিকার করেন ২ উইকেট। ঠাকুর বলেন তিনি নিজেও জানেন না কে তাকে প্রথম লর্ড ডাকা শুরু করে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেই এই নাম ডাকা শুরু হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংসে ৭ উইকেট পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ মিডিয়ায় আলোচনায় শার্দুল ঠাকুর। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় এই লর্ড নামকরণ কে করেছেন। তিনি জানান তিনি নিজেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়
ভারতের বোলিং কোচ পরশ এমহাম্ব্রের সাথে এক ভিডিওতে ঠাকুর জানান, ‘সত্যি বলতে আমি জানি কে আমাকে লর্ড ডাকা শুরু করেছে। তবে আমি নিশ্চিত যে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর আইপিএল শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেই এটা ডাকা শুরু হয়েছে। ওই সিরিজে আমি অনেক সাফল্য পেয়েছিলাম। এক ওভারে টানা দুই উইকেট নিয়েছিলাম। সেখান থেকেই লর্ড ডাকা শুরু হয়।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ৭ উইকেট শিকারের ব্যাপারে ঠাকুর বলেন, ‘যখন আমি মাঠে প্রবেশ করি, পুরো আত্মবিশ্বাস আর নিজের প্রতি আস্থার উপর। আমি পূর্ন আত্মবিশ্বাস রেখেই মাঠে যাই। আমার সাফল্যের এটা এক এবং ছোট্ট একটি মন্ত্র। আমি এটাই ধরে রাখতে চাই। আমি শুধু সঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে চাই। উইকেট বেশ ভালো ছিলো এবং ঈশ্বরের কৃপায় আমি সাত উইকেট শিকার করি। দলের জন্য সেরাটা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
২৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। চতুর্থ ইনিংসে ২৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনশেষে ২ উইকেটে ১১৮ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ২ দিনে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন মাত্র ১২২ রানের, অপরদিকে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৮ উইকেট।