একটা বড় শাস্তি আসতে যাচ্ছে, এটা বোঝাই যাচ্ছিলো। অবশেষে অনুমান সত্যি হলো। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটে বাজিকরদের সম্পর্কে যথা সময়ে তথ্য না জানানোর অপরাধে সাড়ে তিন বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর।
আইসিসি বলেছে, চারটি ভিন্ন ভিন্ন ধারায় টেলরের বিপক্ষে অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল তথ্য না জানানোই নয়, উপহার ও নগদ অর্থ গ্রহণের মত অপরাধও আছে। আরও কিছু অপরাধ মিলিয়ে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
টেলর তার সব অপরাধ স্বীকার করে এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে এ নিয়ে আর কোনো আপিল করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি ব্রেন্ডন টেলর এক বিশাল বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। ২০১৯ সালে তাঁকে ভারতীয় অজ্ঞাত ব্যবসায়ী একটা মোটা অংকের স্পন্সরশীপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দেন। সেই বিষয়েই আলাপ করতে টেলরকে ডেকে পাঠানো হয় ভারতে। মোটা অংকের স্পন্সরশিপের একটা টোপ গিলে ফেলেন টেলর।
তাঁর খুব বেশিকিছু করারও ছিলোনা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট গেল ছয় মাসের কোন বেতনাদি দিতে পারেনি খেলোয়াড়দের। এমন এক পরিস্থিতিতে ১৫ হাজার ডলারের এক অর্থচুক্তি ফিরিয়ে দেওয়াও তো বেশ কঠিন। তাই টেলর হাজির হলেন ভারতে। পূর্ণ আলাপ আলোচনা সেরে ফেলতে।
আলাপ আলাচনা হলো বেশ। মোটামুটি একটা খসড়া কাঠামোও দাঁড় করিয়ে ফেললো দুইপক্ষ। এখন ফিরবার পালা। তার আগে শেষ রাতে এক জমকালো পার্টির নেমন্তন্ন। গেলেন টেলর। তাঁর ভাষ্যমতে সেই ভারতীয় ব্যবসায়িকের কাছের লোকজন টেলরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ভয়ংকর মাদক ‘কোকেন’ গ্রহণ করার।
মদ্যপ টেলর কোনকিছু পর্যালোচনা না করেই সেই চ্যালেঞ্জ লুফে নেন। গ্রহণ করেন কোকেন। ব্যাস! তাতেই ফেঁসে যান টেলর। তাঁর কোকেন গ্রহণের ভিডিও ধারণ করে ফেলে ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠরা৷ আর সেই ভিডিও দেখিয়েই তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করেন সেই ভারতীয় অজ্ঞাত ব্যবসায়ী।