দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সময়েই আইপিএল থেকে ডাক আসলো। তবে বিসিবি তাঁকে ছাড়তে রাজি হয়নি। কেননা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিবেন তো তাসকিনই। ফলে তাসকিনও থেকে গেলেন দলে সাথে। অথচ সেই তাসকিনকেই পাওয়া যাচ্ছেনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে।
ওদিকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল হাতেগোনা। যে কয়েকটা সুখস্মৃতি আছে সেগুলোও এসেছে দেশের মাটিতে। তবে গত কয়েকমাসে বিদেশের মাটিতেও ভালো ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয়ের পর পুরো দলের আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে।
এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে প্রায় চারদিনের খেলা হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পারফর্মেন্সকে বেশ ভালো। এখনো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালো ভাবেই আছে বাংলাদেশের হাতে। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে প্রয়োজন ২৭৩ রান।
ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইতোমধ্যেই দুইবার অল আউট করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এবার দায়িত্বটা ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। আর বাংলাদেশকে এই অবস্থায় এনে দিয়েছে বোলাররাই। পেস আক্রমণে তাসকিন দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। আজও তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট।
তবে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে তাসকিনকে পাচ্ছেনা বাংলাদেশ। কাধের ইনজুরিতে আজও কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে ছিলেন। এবার দ্বিতীয় টেস্টেও তাঁকে না পাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
ওদিকে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের আরেক ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন শরিফুল ইসলাম। তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন। প্রথম টেস্টও এই পেসার খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে তিনিও খেলতে পারছেন না পরের টেস্ট।
ফলে এই দুই পেসারকে ছাড়াই পরের টেস্টে মাঠে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। দুজনই অবশ্য দেশে ফিরে আসবেন। ৫ এপ্রিল দুজনই দেশে ফিরে আসার বিমান ধরবেন। নি:সন্দেহে দ্বিতীয় টেস্টে এই খবরটা বাংলাদেশের টেস্ট দলকে বড় শঙ্কায় ফেলে দেবে।