গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল বায়োবাবলের মধ্যে। করোনার জন্য ক্রিকেটাররা একটা বাবলের মধ্যে ছিলেন। ফলে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও ক্রিকেটারদের সাথে আলাদা করে কথা বলার কোন সুযোগ ছিল না। তবে এবার সেসব কেটে গিয়েছে। ক্রিকেট দুনিয়া আবার সেই চেনা রূপে ফিরেছে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে সেসব নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সেজন্য ক্রিকেটারদের সাথে কথা বলে সেসব মানুষকে জানানোর চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। তবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা সাংবাদিকদের জন্য কাজটা একটু কঠিনই হয়ে পড়েছে। সাংবাদমাধ্যম গুলোর জন্য বাংলাদেশ দল যেন এখনও একটা বাবলের মধ্যেই বসবাস করছে।
আজ থেকেই শুরু হল এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব। বাংলাদেশ তাঁদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে সোমবার নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে। যদিও নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে বেশ অনেকদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে, দলের অবস্থা কেমন এসব কিছুই জানার আগ্রহ থাকে সবার। তবে সেসব জানার তেমন কোন সুযোগই এবার হচ্ছে না। কেননা বাংলাদেশের পুরো দলই এড়িয়ে চলছে সংবাদমাধ্যমকে।
হয়তো দলের ভেতরে বাইরের কোন কিছু আনতে চায় না বাংলাদেশ দল। সেজন্যই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা মোটামুটি দলীয় ভাবেই নিষিদ্ধ। শুধু আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন গুলোতেই গনমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন ক্রিকেটাররা।
যদিও বিদেশের সফর গুলোতে অন্য সময় এর উল্টো চিত্রই দেখা যায়। বিদেশে ক্রিকেটারদের সাথে সাংবাদিকদের দূরত্বটা অনেকটা কমে আসে। তবে এবার দলের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় বলেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত। জানা যায় শ্রীধরন শ্রীরাম ও সাকিব আল হাসানই দলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও সাকিবের আচরণে পরিস্কার যে – যত সম্ভব দলকে তিনি গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে পারলেই খুশি।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা হারের মধ্যেই আছে বাংলাদেশ দল। তবে বিশ্বকাপে এই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ দল। মাঠের ক্রিকেটে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়ার জন্যই হয়তো সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছে বাংলাদেশ দল।
এছাড়া দল টানা হারে থাকায় বাইরে থেকে অনেক বেশি সমালোচনা হচ্ছে ক্রিকেটারদের নিয়ে। ক্যামেরার সামনে ক্রিকেটাররা যাই বলছেন তা নিয়েই অনেক বেশি ট্রলও হচ্ছে। এতে অনেক ক্রিকেটারই মানসিক আঘাত পাচ্ছেন। সেজন্যও সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সবশেষে ক্রিকেটারদের প্রমাণের জায়গাটা আসলে বাইশ গজ। মাঠে বাংলাদেশ ভাল করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।