প্রচণ্ড কঠিন সময় যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। সেই এশিয়া কাপ থেকে শুরু। এরপর তৃতীয় সিরিজ জিতলেও বিশ্বকাপে ভরাডুবির পথে আছে পাকিস্তান দল।
প্রথমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে পরাজয়। তারপর শক্তিমত্তায় তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজয় বরণ। সব মিলিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম দুইটি ম্যাচই হেরেছে পাকিস্তান দলটি।
অথচ, এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট ভাবা হচ্ছিল তাঁদের। দুই নয় গ্রুপে থাকা দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তান দলটির অবস্থান এখন পাঁচ নম্বরে। বলা যায় পাকিস্তানের বিশ্বকাপের আশার প্রদীপ বেশ নিভু নিভু পর্যায়ে আছে। আপাতদৃষ্টিতে ধরেই নেয়া যায় তাঁদের বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ। অবশ্য মুদ্রার ওপিঠে আরেকটি কথা আছে, ক্রিকেটের দুনিয়ায় শেষ বলে ঘোষণা আসার আগ অবধি শেষ বলে কিছু নেই।
সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতে হলে দলটির জন্য অপেক্ষা করছে বেশ জটিল কিছু সমীকরণ। যদি সবগুলো সমীকরণ মেলাতে পারে, তবেই তাঁরা সেমিফাইনালের টিকিট কাটতে সমর্থ হবে। পাকিস্তানের সামনে এই মুহুর্তে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য সেই সমীকরণগুলো হল তিনটি কাপ।
প্রথমত, পাকিস্তানকে সুপার টুয়েলভে তাঁদের বাকি তিনটি ম্যাচ অবশ্যই জিততে হবে। আসন্ন এই তিনটি ম্যাচে তাঁরা নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশকে মোকাবেলা করবে। অবশ্য এই তিন দলকে হারিয়ে দেয়াটা চাট্টিখানি কথা নয়।
দ্বিতীয়ত, মর্যাদাকর নেট রান রেট বজায় রাখতে ম্যান ইন গ্রিনদের তিনটি ম্যাচই বড় ব্যবধানে জিততে হবে।
তৃতীয়ত, নিজেদের ফলাফলের পাশাপাশি অন্যান্য ম্যাচগুলোর ফলাফলও তাদের জন্য সহায়ক হবে এমন হতে হবে। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হারতে হবে। জিম্বাবুয়েকে তাঁদের বাকী তিনটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি ম্যাচ হারতে হবে।
সবশেষে, তাঁদের আসায় থাকতে হবে যে বাংলাদেশ আরেকটি ম্যাচ হেরে যাবে। যদি এই সমীকরণগুলো মিলে যায় তবেই পাকিস্তান সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। অন্যথায় ম্যান ইন গ্রিনদের দেশের ফেরার পথ খুঁজতে হবে।