বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল যেসব শহরে ম্যাচ খেলতে যায় সেসব শহরে ক্রিকেটারদের পিছু নেন বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া ক্রীড়া সাংবাদিকরাও। ব্রিসবেন থেকে বাংলাদেশ এখন পৌঁছেছে অ্যাডিলেডে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ সেখানে ভারতের বিপক্ষে। তবে সাংবাদিকদের অ্যাডিলেড যাওয়া নিয়েই তৈরি হল বিড়ম্বনা।
সাংবাদিকদের ফ্লাইট বাতিল হয়ে দুই দুবার। ফলে সারাদিন ধরে বিমানবন্দরে কাটাতে হচ্ছে ঢাকা থেকে যাওয়া সাংবাদিকদের। এমনকি এই সময়টায় সাংবাদিকদের বিশ্রামেরও কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া এয়ারলাইন্সটি। বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মতে দেশেও কখনওএমন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি তাঁদের।
টিকিট অনুযায়ী অ্যাডিলেড থেকে ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল ভোড় সোয়া ছয়টায়। তবে রাতে মেইল করে সেটি বাতিলের কথা জানানো হয়। পরবর্তী সময় দেয়া হয় বিকাল পৌনে পাঁচটা। অথচ বিকেলে জানানো হয় এই ফ্লাইটটিও বাতিল করা হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয় তাঁদের কেবিন ক্রুর ঘাটতি আছে।
বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশেও এমনটা কখনও দেখিনি যে অভিজ্ঞতা অস্ট্রেলিয়ায় হল। এক কথায় ভয়ংকর বিড়ম্বনা ব্রিসবেন থেকে এডিলেডে যাবার ফ্লাইট ছিল ভোর সোয়া ছয়টায়। কিন্তু আগের দিন রাতে পৌনে ১১ টায় ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া মেইল করে জানায় তাদের ফ্লাইট ক্যানসেল। নতুন সময় দেয় বিকাল পৌনে পাঁচটা। আমরা ১২ জন সাংবাদিক, ফটোগ্রাফার যথা সময়ে পৌঁছাই। তবে চারটা বিশ মিনিটে দ্বিতীয়বারের মত ফ্লাইট ক্যানসেল। কারণ হিসেবে জানায় তাদের কেবিন ক্রু সঙ্কট। আবারও লাগেজ নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টার প্রসেসে আমরা হোটেল পাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্যাক্সির জন্য তারা যে ভাউচার দেয় সেটা আরেক বিড়ম্বনা। যাই হোক লম্বা সময় বিমানবন্দর, ট্যাক্সি সব হার্ডল পেরিয়ে ক্লান্ত শরীর যখন একটা বিছানা চাচ্ছে তখন হোটেলের রিসিপশনে জামানত বাবদ ৩০০ ডলার নিয়ে নিল। যে সময় ব্যয় হল আর কাজের ব্যাঘাত ঘটল এর দায় কে নেবে?’
সময়মত পৌঁছাতে না পারায় কাজেরও বিরাট ক্ষতি হল এই সাংবাদিকদের। বাংলাদেশ দল অ্যাডিলেডে পৌঁছে গেলও এখনও পৌঁছাতে পারেননি সাংবাদিকরা। ফলে দল নিয়ে কোন খবরও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাঠাতে পারছেন না তাঁর। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এয়ারলাইন্সটির এমন ঘটনায় ভীষণ হতাশ ও বিরক্ত এই সাংবাদিকরা।