অবশেষে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে জয়ের দেখা পেল নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপের প্রিলিমিনারী রাউন্ডে দুইবার এই স্বাদ পেলেও, সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ের ম্যাচের আগ অবধি এই স্বাদ অধরাই ছিল ডাচ দের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভরাডুবি হল জিম্বাবুয়ের।
অ্যাডিলেড ওভালে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার এ সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রমান করতে ডাচদের লেগেছে মাত্র দুই ওভার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ডাচ বোলার পল ভ্যান মেকারেন আঘাত হানে। মাধেভিরেকে এক রানে বোল্ড করে।
ইনিংসের চতুর্থ এবং ষষ্ঠ ওভারে ক্রেইগ আরভিন এবং রেজিস চাকাভা কে আউট করে পাওয়ারপ্লে টাকে সম্পূর্ণ নিজেদের করে নেয় ডাচ বোলার ব্র্যান্ডন গ্লোভার। এরপর আবার সিকান্দার রাজা!
জিম্বাবুয়ের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবারও আবির্ভূত হন সিকান্দার রাজা। ২০ রানে দলীয় ৩ উইকেট হারানোর পরে মাঠে আসেন রাজা। শন উইলিয়ামস এর সাথে তার ৪৮ রানের পার্টনারশীপ একটা ভাল দলীয় সংগ্রহের দিকেই নিচ্ছিল জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৮ রানে দলীয় ৬৮ রানে শন উইলিয়ামস ফিরলে তাদের পারটনারশীপ ভাঙে।
যদিও এরপর রাজা নিজের স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক খেলা খেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু, দলীয় ৯২ রানে দলের ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিন ৪ এবং, সমান সংখ্যক ছয়ের মারে মাত্র ২৪ বলে ৪০ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেন রাজা।
রাজার আউটের পর জিম্বাবুয়ের স্কোর আর বেশি এগোতে পারে নি। মাত্র ১৯.২ বলে ১১৭ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ডাচদের পক্ষে ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ভ্যান মিকেরেন। এছাড়া ভ্যান বিক,গ্লোভার এবং ডি লিড নেন দুটি করে উইকেট।
১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ডাচদের দুই ওপেনার এর শুরুটা ছিল দেখেশুনে। যদিও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৭ রানে ব্লেসিং মুজারাবানির শিকার হন স্টিফেন মাইবার্গ। এরপরই টম কুপারের সাথে জুটি বাঁধেন অপর ওপেনিং ব্যাটসম্যান ম্যাক্স ও দাউদ।
তাদের ৫৭ বলে ৭৩ রানের পার্টনারশীপ,জয়ের বন্দরের অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে যায় ডাচদের। যদিও শেষ দিকে এসে পরপর উইকেট পড়লেও সেটা ডাচদের সুপার টুয়েলভ এর প্রথম জয় পাওয়াকে থামাতে পারে নি। অবশেষে ১২ বল বাকি রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডাচরা।
ডাচদের পক্ষে ওপেনার ম্যাক্স ও দাউদ সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৫২ রান করেন। এছাড়া টম কুপার ২৯ বলে ৩২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে রিচার্ড এনগারাভা এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ২ টি করে উইকেট পান।