বিশ্বাস হারাননি রিজওয়ান

সেমিফাইনালে বরাবরই পাকিস্তানের প্রিয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১৯৯২ ও ১৯৯৯ সালে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। দুবারই বিজয়ী পাকিস্তান। এরপর ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তান।

ফলে, এবার মানে ২০২২ সালে পরিসংখ্যান তাঁদের পক্ষেই ছিল। তার ওপর বাবর আর রিজওয়ানের এমন দাপুটে দিনে কোনো বোলিং লাইন আপেরই আসলে তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারার কথা নয়।

টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটা পাকিস্তানের ১৮ তম জয়। এর আগে আর কেউই কোনো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এতগুলো ম্যাচ জেতেনি। বাবর-রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রিজওয়ান। তিনি জানান খারাপ সময়েও তিনি বিশ্বাস হারাননি। তিনি বলেন, ‘আমার ধর্ম আমাকে শেখায় সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখতে। ধর্মে বলা হয়েছে, পরিশ্রম করে যাও – সাফল্য আসবেই। আমরা শুধু পরিশ্রমই করে গিয়েছি। স্রষ্টার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

আকাশ সমান চাপ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাবর-রিজওয়ান। চ্যালেঞ্জিং সেই সময়ের প্রসঙ্গে রিজওয়ান বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে ফিফটিটা পেলাম সেমিফাইনালে। আমরা ধুঁকছিলাম, কিন্তু লড়াই করতে ভুলে যাইনি। আমরা নতুন বলেই বোলারদের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলাম। আর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর চাচ্ছিলাম, যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করা যায় সেদিকে মন দিতে। এই পিচটা একটু অন্যরকম। টুর্নামেন্টের শুরুটা আমাদের ভাল ছিল না। কিন্তু, আমরা কখনও বিশ্বাস হারাইনি।’

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সমর্থনের কমতি ছিল না পাকিস্তানের জন্য। বাবর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই ভিড়কে ধন্যবাদ। মনে হয়েছে বাড়িতে বসেই খেলছি।’

বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন বাবর। ব্যাটিং বা বোলিং – দুই জায়গাতেই পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পেরেছে পাকিস্তান। বাবর বললেন, ‘আমরা প্রথম ছয় ওভারের বোলিংটা বেশ ভাল করেছি। সেটা ইতিবাচক। ব্যাটিংয়েও আমরা পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পেরেছি।’

বাবর এখন চোখ রাখছেন ফাইনালে। বললেন, ‘এই সময়টা আমরা উপভোগ করছি। কিন্তু, এখন অবশ্যই শতভাগ মনোযোগ রাখতে হবে ফাইনালে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link