পর্তুগালের ক্যাম্পে গোলযোগ, দায়ী রোনালদো

যত সময় যাচ্ছে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চারপাশের পরিবেশ যেন ঘোলাটে হয়ে উঠছে ততটাই। বিশেষ করে ক্লাব দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছেন এক সাক্ষাৎকার দিয়ে। সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারের রেশ কাটতে না কাটতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটতে চলেছে।

এর মধ্যে জাতীয় দলেও ঠিক তিনি স্বস্তিতে নেই। কাতারে দলের অনুশীলনে ঘটল অনাকাঙ্খিত গণ্ডগোল। আর এর মূলে ওই রোনালদোই ছিলেন।

কাতার বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অনুশীলন সেশনে পর্তুগাল। তবে সেই অনুশীলনেই ঘটে গেল এক গোলযোগ। দোহা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে নিজেদের ক্যাম্প করেছে পর্তুগাল। এতদূরে নিজেদের পরিকল্পনা থেকেই ক্যাম্প আয়োজন করেছে পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশন চেয়েছে দলটাকে আলাদা রাখতে। যেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের কেউ বিরক্ত করতে না পারে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে দেয়া সাক্ষাতকার ঠিকই পর্তুগালের শীতল ক্যাম্পকে গরম করে তুলেছে। প্রথম দিনের ট্রেনিং শেষেও এই নিয়ে গোলযোগ বাঁধে।

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শত শত সাংবাদিক পর্তুগালের সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। তবে অনেকেই প্রবেশ করতে পারেননি অনুমতির কারণে। আর তাতেই বাধে গন্ডগোল। কাতারের নিরাপত্তা কর্মীরা হিমশিম খেয়েছে এই গণমাধ্যম কর্মীদের সামলাতে।

শেষপর্যন্ত অনেক সাংবাদিকই সংবাদ সম্মেলনে প্রবেশ করতে পারেননি। আর পর্তুগিজ সাংবাদিকরা মনে করেন এই সবকিছুর জন্যই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দায়ী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে নিয়ে দেয়া সেই সাক্ষাতকারের জন্যই এত আগ্রহ পর্তুগালকে ঘিরে।

এমনকি সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বার্নেডো সিলভা। অথচ তাঁকেও অর্ধেকের বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে রোনালদোকে নিয়েই। প্রায় প্রতিটাই প্রশ্নেই ঘুরে ফিরে একই কথা বলেছেন তিনি, ‘ইংল্যান্ড থেকে কী তথ্য আসছে সেটা দিয়ে আসলে পর্তুগাল জাতীয় দলের কিছু করার নেই। সেটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণও না, সেটা রোনালদোর জন্যই হয়তো জরুরি। আমি এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাইনা।’

ওদিকে নিজেদের প্রথম ট্রেনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ক্রিশিয়ানো রোনালদোও। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের ড্রিলগুলো করেছেন এই তারকা ফুটবলার। তবে, নিশ্চয়ই ভেতরে ভেতরে ঠিকই ফুঁসছেন তিনি। কে জানে, নিজের ভেতরের আগুনটা বিশ্বকাপের ময়দানেই হয়তো উগড়ে দেবেন তিনি।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link