জার্মানি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। রানারআপ চারবার। ফুটবলের অন্যতম সফল দলগুলোর একটি। ব্রাজিলকে তাঁরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৭-১ গোলে হারাতে পারে। তবে জার্মানি কখনও বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়নি জাপানের। সে কারণেই কি না, যতটা সহজ আশা করেছিল ততটা সহজ একদম হয়নি ম্যাচটা। বারবার রং বদলের ম্যাচে জিতে নেয় জাপান ২-১ ব্যবধানে।
শুরুর মিনিট দশেক জার্মানিকে কাঁপিয়েই দিয়েছিল জাপান। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে গোলও পায়। অফ সাইডে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল। এই জায়গাটা থেকে জার্মান আধিপত্তের সূচনা হয়।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় জার্মানি। সেই সময়ে জাপানের গোলরক্ষক বক্সের ভিতরে অবৈধ ভাবে জার্মান ফুটবলারকে আটকান। তারপরেই সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির ঘোষণা আসে। সেখান থেকে গোল করতে একদম ভুল করেননি ইকায় গুন্দোগান।
এর আগে কখনওই বিশ্বকাপে প্রথমে গোল হজম করার পর আর ম্যাচে ফিরেনি জাপান। অবশ্য এবার ইতিহাসটা পাল্টে গেল। এবার সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তাঁরা জিতল মহা শক্তিধর জার্মানির বিপক্ষে।
এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে জার্মানি। আরেকটা গোল যদিও তাঁরা প্রথমার্ধেই দিয়েছিল। তবে, ভিএআর থেকে আসে অফ সাইডের ঘোষণা। বাতিল হয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও জার্মান আক্রমণ অব্যাহত থাকলে সময়ের সাথে সাথে নিজেদের ধার বাড়ায় জাপান। একের পর এক আক্রমণ করে জার্মান রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে তাঁরা। ৭৫ মিনিটে ম্যাচে ফিরে জাপান। রিতসু দোয়ান অনবদ্য গোলে সমতা ফেরান।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দুরন্ত ফিনিশ করলেন জাপানের ফুটবলার তাকুমা আসানো। লম্বা থ্রু থেকে প্রথম পোস্ট দিয়ে ম্যানুয়েল ন্যয়ারকে বোকা বানালেন তিনি। বদলে গেল ম্যাচের চেহারা!
এরপর হাজার চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জার্মান ইঞ্জিনের। গত বিশ্বকাপে এশিয়ার আরেক দল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানি। এবারে কাতারে তাঁদের গ্রুপ পর্বটাই শুরু হল আরেক এশিয়ান শক্তির বিপক্ষে হার দিয়ে। কেন বার বার এশিয়ান শক্তির কাছেই বিশ্বকাপে আটকে যাচ্ছে জার্মানি – বিষয়টা নিয়ে আসলে তাঁদেরই ভেবে দেখার দরকার আছে।
আগেরদিনই সৌদি আরব হারিয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। এবার একই ব্যবধানে জিতল জাপান, জার্মানির বিপক্ষে। এবারের বিশ্বকাপটা অঘটনের বিশ্বকাপই বনে যাচ্ছে।