চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানি। এবারে কাতারে তাঁদের গ্রুপ পর্বটাই শুরু হল আরেক এশিয়ান শক্তি জাপানের বিপক্ষে হার দিয়ে। দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে জাপান।
জাপানের সামনে বিকল হয়ে গেল জার্মান ইঞ্জিন। এই পরাজয়ের কারণ যাই হোক না কেন, বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার জন্য জার্মানিকে এবার ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে তাঁদের সামনে অপেক্ষা করছে এক গাদা সমীকরণ। জার্মানির বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। স্পেন দুরন্ত ছন্দে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফলে, শেষ ষোলতে যেতে হলে নিজেদের সামর্থ্য উজাড় করে দিয়েই খেলতে হবে জার্মানিকে।
শুধু খেললেই চলবে না, মাথায় রাখতে হবে সমীকরণও।
প্রথমত, স্বস্তির জন্য জার্মানিকে আপাতত ভরসা করতে হবে সেই জাপানের ওপরই। জাপান যদি হারিয়ে দিতে পারে কোস্টারিকাকে, তাহলে জার্মানির বিশ্বকাপ স্বপ্ন কিছুটা অক্সিজেন পায়। আর জাপানের পক্ষে সেটা সম্ভব। কারণ, এই গ্রুপে তুলনামূলক ভাবে সবচেয়ে দুর্বল দল কোস্টারিকা।
সেই সঙ্গে জাপানকে হারতে হবে স্পেনের কাছে। এক্ষেত্রে আবার বড় ব্যবধানে কোস্টারিকাকে হারাতে হবে জার্মানিকে। আবার স্পেনের বিরুদ্ধেও অন্তত ড্র করতে হবে বা জিততে হবে। তা হলে জার্মানি যেতে পারবে দ্বিতীয় পর্বে। আর কোনও জটিল অঙ্কের প্রয়োজন হবে না।
দ্বিতীয়ত, আবার জাপানের বিরাট ব্যর্থতাও কাজে লাগতে পারে জার্মানি। জাপান পরের দু’টি ম্যাচেই হারলে, আর একটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতলেই নকআউটে পৌঁছে যাবে জার্মানি।
আরেক পথ হল হল জাপান যদি কোস্টারিকাকে হারায় আর স্পেনের কাছে হারে, তাহলে বাকি দু’টি ম্যাচে যেকেনো ভাবেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে জার্মানিকে। কারণ, এক্ষেত্রে গোলের ব্যবধান রাখবে বড় একটা ভূমিকা।
‘ই’ গ্রুপে আসলে এখন সবচেয়ে বেশি নজর জাপানের দিকে। কারণ, তাঁদের পারফরম্যান্সের ওপরই গ্রুপের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভরশীল। জাপান যদি আবারও অঘটন ঘটিয়ে স্পেনকে হারিয়ে দেয় তাহলেও দ্বিতীয় পর্বে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জার্মানিকে জিততে হবে জার্মানিকে, সেটাও আবার বড় ব্যবধানে। এক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে বিরাট ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েও দ্বিতীয় পর্বে উঠতে ব্যর্থ হবে স্পেন। যদিও, এই সমীকরণটাকে প্রায় অসম্ভবই বলা যায়।