জিতলেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে। সহজ এক সমীকরণকে সামনে রেখে মাঠে নামে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে স্বস্তিদায়ক এক অবস্থানে থেকে শুরু করেছিল এবারের বিশ্বকাপ। আর চটজলদি রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছে যাওয়ার তাড়না নিশ্চয়ই সবার থাকে। দারুণ একটা লড়াইয়ের আভাস দিয়েই এই দুই দল খেলতে নেমেছিল।
প্রথম ম্যাচে একেবারে শেষদিকে গোলের দেখা পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। পরপর দুই গোলে জয় পায় ডাচরা সেনেগালের বিপক্ষে। তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যায় কমলা বাহিনী। এদিন গোলের খাতায় প্রথম আঁচড় দেন আগের দিনও গোল পাওয়া কডি গ্যাকপো। ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় তিনি দলকে এগিয়ে দেন।
এরপর যথারীতি আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে। মড়িয়া হয়ে গোলের সন্ধ্যান করতে থাকে ইকুয়েডর। প্রথম অর্ধের বাশি বেজে ওঠার ঠিক আগ মুহূর্তে বল ডাচদের জালে জড়িয়েও যায়। তবে এস্তুপিনানের করা গোলটি বাতিল হয়ে যায়। মূলত সতীর্থ পোরোজো ছিলেন অফসাইড পজিশনে। খানিকটা নাখোশ হয়েই ইকুয়েডের খেলোয়াড়রা চলে যায় টানেলে।
টানেলে প্রথম অর্ধের কাঁটাছেড়া শেষে দুইদল আবার খেলতে নামে শেষ ৪৫ মিনিটের লড়াইয়ে। নেমেই ইকুয়েডরের বাজিমাত। তাদের ত্রাণকর্তা হয়ে হাজির সেই এনার ভ্যালেন্সিয়া। এবার এস্তুপিনানের শট গোলরক্ষক প্রতিহত করলে তাতে পা ছুঁয়ে আলতো টোকায় গোল আদায় করে নেন ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচে সমতা। দুই দলের টক্করটা দারুণভাবেই চলতে থাকে।
দুইটি দলই জানে তাদের সামনে সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচেই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলা। একবিন্দু ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ফুটে ওঠেনি কোন দলের শরীরি ভাষায়। ম্যাচের শেষ অবধি দুই দলই লড়াই করে গেছে গোলের জন্যে। তবে শেষ অবধি গোল আর ধরা দেয়নি তাদের কারও কাছেই। ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া ম্যাচে ইকুয়েডরের জন্যে খানিকটা চিন্তার কারণ হয়ে রইলো ইনজুরি নিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ ছাড়া।
ইকুয়েডরের পরবর্তী ম্যাচ সেনেগালের বিপক্ষে। যেহেতু গ্রুপ এ তে সেনেগালও একটি ম্যাচে জয়ে পেয়েছে, সেহেতু এই দুই দলের শেষ ম্যাচটি বনে গেল এক অলিখিত নকআউট ম্যাচ। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ কাতার। অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ড্র করলেও ডাচরা চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।