হিসাবটা ছিল পরিস্কার। স্পেন জিতলে সরাসরি চলে যাবে দ্বিতীয় পর্বে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই। আর সেক্ষেত্রে বাদ পড়ার দুয়ারে জার্মানি, চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আর জার্মানরা জিতলে দু’দলকেই দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচের।
তবে, সেই লড়াইটার নিষ্পত্তি হল ড্র-তে। ফলে, পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হল। এখন স্পেন গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে থাকলেও নিশ্চিত করতে পারেনি দ্বিতীয় পর্ব। সবাইকেই আসলে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচের জন্য।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। আন্টোনিও রুডিগার হেডে বল জালে পাঠালে উল্লাসে মাতে জার্মানি, তবে ভিএআরে অফসাইডের সিদ্ধান্তে থেমে যায় তাদের উদযাপন। ৬২ মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন আলভারো মোরাতা। ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরান নিকলাস ফুলক্রাগ।
লড়াইয়ে নামার আগে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল স্পেন। এগিয়ে থাকার কারণ সাম্প্রতিক ফর্ম। চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার জালে সাতবার বল জড়িয়েছে স্পেন। অন্যদিকে, জার্মানি প্রথম ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ২-১ গোলে হারে।
পিছিয়ে দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার পথ এখনও খোলা আছে জার্মানির। সেই পথে অনেক যদি কিন্তু থাকলেও খুব কঠিন কোনো সমীকরণ না। এখানে কোস্টারিকার কাছে জাপানের হার বড় একটা ভূমিকা রেখেছে।
এই সমীকরণে প্রথমত জাপানকে হারতে হবে স্পেনের সাথে। আর জার্মানিকে হারাতে হবে কোস্টারিকাকে। তবে, স্পেন যদি জাপানের কাছে হেরে যায় তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় পর্বে যাবে দ্বিতীয় পর্বে। অন্যদিকে, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে গ্রুপ পর্বের বাঁধা টপকাবে স্পেন। তবে, জার্মানি যদি কোস্টারিকার জালে স্পেনের মত গোল বন্যার আয়োজন করতে পারে, তাহলে তাঁদেরও সুযোগ থাকবে।