সুইস-সার্বিয়া যুদ্ধ ও ব্রাজিল পরাজিত

নক আউট নিশ্চিত হয়েছে আগেই। এই ম্যাচকে তাই পরীক্ষা নিরীক্ষার মঞ্চ বানিয়েছিলেন কোচ তিতে। তবে এমন অঘটনের স্বীকার হতে হবে ব্রাজিলের তা বোধহয় কল্পনাতেও ছিলো না তার। ১-০ গোলের জয়ে ক্যামেরুন জন্ম দেয় আরো একটি অঘটনের।

একাদশে ৯ টি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও ব্রাজিলের সেই চিরচেনা আক্রমণাত্মক ফুটবলের ধার কমেনি একটুও। ম্যাচের শুরু থেকেই ক্যামেরুন রক্ষণের একের পর এক পরীক্ষা নিতে থাকে ব্রাজিল।

রাফিনহার জায়গায় খেলতে নামা অ্যান্টনি আর ভিনিসিয়াসের জায়গায় নামা মারটিনেল্লি দুই প্রান্ত দিয়ে ত্রাস ছড়ান ক্যামেরুন রক্ষণে। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। ডান প্রান্ত থেকে এন্টনির অসাধরণ ক্রস থেকে মারটিনেল্লি হেড করলেও দুর্দান্ত সেভ করেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক এপাসি।

ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে এন্টনির শট আবারো সেভ করেন এপাসি। মাঝে একটি সুযোগ তৈরি করে ক্যামেরুনও। এডারসনের অসাধারণ সেভে সে যাত্রায় রক্ষা পায় ব্রাজিল। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মারটিনেল্লি তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত শট নিলেও এবারও ভাঙতে পারেননি এপাসি প্রাচির। তাই গোল শূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল। ৫৬ মিনিটে আবারো মার্টিনেল্লির দুর্দান্ত শট ফেরান এপাসি। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালালেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ব্রাজিল।

উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবুবকর এর গোলে ১-০ গোলের লিড নেয় ক্যামেরুন। জার্সি খুলে সেলিব্রেশনের জন্য ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন আবুবকর। অন্যদিকে ২০ টি গোলের এটেম্পটেও গোলের দেখা না পাওয়া ব্রাজিল শিকার হলো এবারের বিশ্বকাপে আরো একটি অঘটনের।

গ্রুপের অন্য খেলায় নক আউট রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হতো সার্বিয়াকে। অন্যদিকে ড্র করলেও সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে সুইজারল্যান্ড। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। প্রথমার্ধের খেলায় ২-২ সমতায় থেকে শেষ করে দুইদল। সুইসদের পক্ষে গোল করেন শাকিরি ও এমবোলো এবং সার্বিয়ার হয়ে গোলের খাতা খোলেন ভালেহোভিচ ও মিত্রোভিচ। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সুইসদের লিড এনে দেন ফ্রুইলার।

এই জয়ে ব্রাজিলের সঙ্গী হিসেবে গ্রুপ রানার আপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link