আইপিএলের সম্ভাব্য ছক্কামানব!

চার ছক্কার খেলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। বিশ ওভারের ফরম্যাট। একটু রয়ে সয়ে খেলারও উপায় নেই। তাই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারির উপরে প্রধান নজর রাখতে হয় ব্যাটারদের। তাতে কেউ সাফল্যের পারদে অনেক উপরে উঠে যান। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাজারে হট কেক হয়ে ওঠেন। আবার অনেকেই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দিন শেষে ঠিক মতো ধাতস্থ হতে পারেন না।

তবে, এটা বলাই যায়- আগামীর ক্রিকেট হবে টি-টোয়েন্টি কেন্দ্রিক। বর্তমানে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দৌরাত্ম্যে সেটার চিত্র নিকট ভবিষ্যতেই মিলবে। এরই মাঝে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা মানদন্ড হয়ে উঠেছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)। কাড়িকাড়ি অর্থযোগের পাশাপাশি খুব সহজেই লাইম লাইটে আসার একটা মঞ্চ হয়ে উঠেছে ভারতের এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগটি। গোটা বিশ্বের সেরা সব পাওয়া হিটার কিংবা টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টদের একটা মহারণ হয়ে যায় এই লিগের মাধ্যমে। তাই আইপিএলকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখে ক্রিকেটাররা। একই সাথে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন দর্শকদের বাড়তি উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা তো আছেই।

২০২৩ আইপিএলের জন্য এরই মধ্যে দলগুলোর দল গোছানোর কাজ শেষ। এখন শুধু টুর্নামেন্ট শুরু ক্ষণের অপেক্ষায় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। তবে এ বারের আইপিএলে বোলারদের জন্য ত্রাস হতে পারেন কোন ব্যাটার তাঁর একটা তালিকা করা যেতেই পারে।চলুন দেখা নেওয়া যাক,  সম্ভাব্য কারা এবার ছক্কা মানব হতে পারেন।

  • জস বাটলার 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু সব ধরনের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বোলারদের জন্য অন্যতম আতঙ্কের নাম জস বাটলার। তবে আইপিএলে আসলেই যেন এ ইংলিশ ব্যাটার আরেকটু বেশি রুদ্রমূর্তি ধারণ করে থাকেন। গত আসরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ৪৫ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তাই এ আসরেও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানো ব্যাটারদের তালিকায় নিশ্চিত ভাবেই থাকতে পারেন বাটলার।

  • লিয়াম লিভিংস্টোন  

পাওয়ার হিটার কিংবা স্লগ ওভার ব্যাটারদের তালিকা করতে গেলে অবশ্যই প্রথম সারিতে আসবে লিয়াম লিভিংস্টোন। গত আসরে বাটলারের পর সর্বোচ্চ ৩৪ টি ছক্কা তিনিই মেরেছিলেন। তাই এবারও সেই দৌড়ে থাকছেন লিভিংস্টোন। যদিও খুব একটা তিনি এখন নেই। তবে বল বাউন্ডারি পার করার ক্ষেত্রে লিভিংস্টোনের অসামান্য এক ক্ষমতা আছে। তাই বোলারদের জন্য অবশ্যম্ভাবী এক ত্রাসের নাম হবে লিভিংস্টোন।

  • আন্দ্রে রাসেল 

ক্যারিবিয়ান এ পাওয়ার হিটারকে নিয়ে নতুন করে আসলে কিছু বলার নেই। ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতি তিনি এক মুহূর্তেই ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। কলকাতার হয়ে অভাবনীয় অনেক ম্যাচ তিনি একা হাতেই জিতিয়েছেন। গত আসরে খুব একটা ফর্মে ছিলেন না। তারপরও টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। তাই আন্দ্রে রাসেলকে এবারও আলাদাভাবে নজরে রাখতেই হচ্ছে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link