একের পর এক দুঃসংবাদ আসছে ক্রীড়াজগতে। ফুটবলের রাজা পেলের মৃত্যুর পর এবার এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারত্মক আহত হয়েছেন ঋষাভ পান্ত। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রায় দুইবছরের জন্য মাঠের ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়েছেন ঋষাভ।
কিন্তু এই উইকেট রক্ষকের দূর্ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যেই উঠেছে অনেক প্রশ্ন। শুধু সড়ক দূর্ঘটনাতেই শেষ হয়নি এই ঘটনা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকা পান্তের সাথে থাকা প্রায় চার লক্ষ টাকা লুট হয়েছে। তবে এ লুট থেকে জন্ম নিয়েছে আরেক প্রশ্নের।
এত টাকা নিয়ে একা গাড়ি চালিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন পান্ত? গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা পান্তের সাথে সামান্য কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন পুলিশ এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
দিল্লি-দেহরাদূন হাইওয়েতে এক মর্মান্তিক গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পান্তের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে দূর্ঘটনার পর তার থেকে লুট হওয়া ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। ঋষাভের রূরকি যাবার কথা জানতেন না তার মা বা পরিবারের কেউই।
দূর্ঘটনার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কিছুই বলেননি পান্ত। দূর্ঘটনার পরেই দেহরাদুনের সক্ষম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পান্তকে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুশীল নাগরকে ঋষাভ জানান বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর মাকে চমকে দিতেই পরিবারকে না জানিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে একাই গাড়ি চালিয়ে রওনা দেন তিনি। পরিবারের সকলকে নিয়ে নতুন বছর উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছিলেন ঋষাভ। সে কারণেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছিলেন তিনি।
ডাঃ সুশীল নাগর এভাবে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাবার কারণ জানতে চান পান্তের কাছে। ডাঃ নাগর বলেন, ‘পান্ত রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আসার পর কিছু কথা হয়। ও বলেছে, ও মাকে চমকে দিতে চেয়েছিলো। তাই গোপানে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলো। শুক্রবার সকালে হঠাৎ করে মায়ের সামনে হাজির হতে চেয়েছিলো ঋষাভ। পরিবারের সকলকে নিয়ে বছরের শেষে আনন্দ করার পরিকল্পনা করেছিলো সে।’
এমন ভয়াবহ দূর্ঘটনার পর পান্তের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে তার সাথে থাকা সমস্ত থাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা। হাইওয়ের ওপর এমন লুটের ঘটনা নিয়ে হাইওয়ে পুশিশের সমালোচনা করছেন উত্তরাখন্ডের অনেকেই। পান্ত আপাতত আছেন দেহরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে। প্রয়োজনে দিল্লীতেও স্থানন্তর করা হতে পারে থাকে। তার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করছে উত্তরাখন্ড সরকার।