এল ক্লাসিকোতে সাধারণত ফেভারিট বিশেষণটা খুব বেশি ব্যবহার করা হয়। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা মুখোমুখি হলে সে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে সেটাই ধরে নেয়া হয়। ফাইনালের আগে রিয়াল মাদ্রিদকেই এগিয়ে রাখছিলেন অনেকে। কিন্তু ফাইনালে পুরোপুরি বিপরীত চিত্র। জাভির শিষ্যদের কাছে যেন দাঁড়াতেই পারলো না রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ শেষে রিয়াল বস আনচেলত্তিও স্বীকার করলেন, ম্যাচে বেশি ক্ষুধার্ত ছিল বার্সেলোনাই।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। সে ম্যাচেই রিয়ালের দৃষ্টিকটু কিছু ভুল চোখে সামনে এসেছে। গত মৌসুমের লা লিগা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়ালকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যেদিকে রিয়ালের দুর্বলতা গুলো দারুণ দক্ষতায় খুঁজে বের করেছেন জাভি। মেসি ক্লাব ছাড়ার পর বার্সার প্রথম শিরোপা এটি। এমনকি মেসিকে ছাড়া একবিংশ শতাব্দিতেই এই প্রথম শিরোপা জিতলো বার্সা। ২০০৪-০৫ মৌসুমে মেসির অভিষেকের আগে ৬ বছর শিরোপাহীন ছিল কাতালানরা। ১৪ তম বারের মত স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জয় তাঁদের।
নতুন দিনের বার্সার দুই প্রতিনিধি গাভি আর পেদ্রি দুজনেই গোল করেন ফাইনালে। এল ক্লাসিকোতে প্রথমবার গোল পেয়েছেন রবার্ট লেভানডফস্কিও। প্রথমার্ধেই গাভি আর লেভানডফস্কির গোলে শিরোপার দিকে এক পা বাড়িয়েই বিরতিতে যায় বার্সা। বিরতির পর জয় প্রায় নিশ্চিত করেন লা মাসিয়ার আরেক ছাত্র পেদ্রি। অতিরিক্ত সময়ে বেনজেমার গোল শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে রিয়ালের জন্য।
এমন অর্জনের পর দারুণ খুশি জাভি। ফাইনাল শেষে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে আমাদের নিয়ে। ছেলেরাই এ থেকে বের হবার পথ খুঁজে নিয়েছে। আমরা আর থামতে চাই না। এটিই মৌসুমের প্রথম শিরোপা, তবে শেষ নয়।’
ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বার্সার জন্য এমন একটি শিরোপাই হতে পারে টনিক। দুর্দান্ত এ জয়ে অবদান রেখেছেন বার্সার ভবিষ্যতের তারকারাই। পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত ছিলেন গাভি। তিনটি গোলের দুটিতেই সরাসরি অবদান রেখেছেন গাভি। দলকে নিয়ে তাই গর্ব না হয়ে পারেই না কোচ হিসেবে প্রথম শিরোপা জেতা জাভির।