মুমিনুল হক সৌরভকে যেন ইদানিং কোনো খবরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিনি দল পাননি। যদিও, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিটা মন্দ খেলেন না। ইংল্যান্ড দল যখন ঢাকায় ছিল তখনও দৃশ্যপটে ছিলেন না মুমিনুল। দল আয়ারল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত – এর মধ্যেও নেই মুমিনুল।
থাকবেন কি করে, তিনি যে মূলত টেস্ট ক্রিকেটার। সাদা বলের ক্রিকেট থেকে বহুকাল হল নির্বাসিত তিনি। এমনকি, লাল বলের ক্রিকেটেও জীবনটা বিষিয়ে উঠেছে মুমিনুলের।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন দেশের মাটিতে। সেখানে বলার মত কোনো পারফরম্যান্স নেই। শিশুতোষ কায়দায় আউট হয়েছেন। অথচ, ক’দিন আগেও তিনি ছিলেন টেস্ট দলের অধিনায়ক।
অনেকদিন হল মুমিনুলের ব্যাটে টেস্ট ক্রিকেটে তেমন একটা রান নেই। টেস্টের অধিনায়কের এমন ফর্মটা মেনে নিতে পারছিল না বোর্ড। ফলে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০২২ সালের সফর শেষ করার পরেই তাঁর অধিনায়কত্ব হয়ে ওঠে ‘টক অব দ্য টাউন’। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হারে বাংলাদেশ দল।
তখন, বোর্ডও সরব হয়ে ওঠে। নির্বাচক ও বোর্ড সভাপতির পরামর্শে তিনি নেতৃত্বটা ছেড়েই দেন। অবশ্য দক্ষিষ আফ্রিকা সফরে তাঁর ক্রিকেটই ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ওই সিরিজে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যক্তিত্বের সংঘাত চরমে রূপ নিয়েছিল।
জানা যায়, মুমিনুল হককে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিলেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটার। যে বিপর্যয় তখন তো নয়ই, আদৌ কাটিয়ে উঠতে পারেননি মুমিনুল।
শেষ পর্যন্ত নিজে ব্যর্থ হয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। আর এখন তো তিনি মোটামুটি আলোচনারই বাইরে। টেস্টে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের আরো পাঁচ-ছয় বছর অন্তত দলকে সার্ভিস দেওয়ার সামর্থ্য আছে। কিন্তু, সেই সুযোগটা তিনি পাবেন কি?
তার ওপর এখন কোচ হয়ে এসেছেন হাতুরুসিংহে, যার আমলেই প্রথমবারের মত টেস্ট দলে অবস্থান হুমকির মুখে পড়েছিল মুমিনুলের। মুমিনুল কি পারবেন সংকট কাটাতে? নাকি কালের প্রবাহে হারিয়ে যাবেন তিনি।