চোখ রাঙানি দিয়েছিল আইরিশরা। আর তাতে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে কিছুটা শঙ্কার মেঘ জমেছিল বটে। তবে সেই শঙ্কার মেঘ সরিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রায় দেড়দিন হাতে রেখেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।
আগের দিনে ১৩১ রানে এগিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ড এ দিন সকালের শুরুতেই বাকি ২ টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। তার আগে ৯ ওভার ব্যাটিং করে আগের স্কোরের সাথে আইরিশরা যোগ করতে পারে মাত্র ৬ রান। আর তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৮।
আইরিশদের ইনিংসের শেষ দুই উইকেটই নেন এবাদত হোসেন। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন শেষ পর্যন্ত এবাদতের বলে বোল্ড হয়ে ৭২ রানে ফেরেন। আর এর কিছুক্ষণ বাদে, গ্রাহাম হিউম ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে এ দিন তামিমের সাথে ইনিংস শুরু করেন লিটন দাস। প্রায় ৩ বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ওপেনিংয়ে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন লিটন। ইনিংসের শুরুটাই করেন ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকিয়ে। এরপরের বলেই আবার কাট করে তুলে নেন আরেকটি বাউন্ডারি।
অবশ্য এমন আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের খেসারতও দিতে হয়েছে লিটনকে। মার্ক অ্যাডায়ারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হন লিটন। দারুণ গতিতে চলতে থাকা ১৯ বলে ২৩ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে সেখানেই।
এরপর তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত চার দিয়ে রানের খাতা খুললেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এ বাঁহাতি ব্যাটার।
১১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট পতনের পরও উইকেটে এসে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং শুরু করেন মুশফিকুর। আর তাতে বরং সফলই হয়েছেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটার। ৪৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬ তম ফিফটি।
মুশফিক ফিফটি পূরণ করলেও তার আগে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করা তামিম ফেরেন ৬৫ বলে ৩১ রান করে। অবশ্য তাতে জয়ের পথে কোন বাঁধাই সৃষ্টি করতে পারেনি। মধ্যাহ্ন বিরতির পরই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। আইরিশদের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য টপকে যায় ২৭.১ ওভারেই।
৭ উইকেটের এ জয়ের মধ্য দিয়ে তিন বছর পর আবারো ঘরের মাটিতে আরেকটি টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিল তারা। আর বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট জয় ছিল ২০২২ সালে। সেবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।