গত বছরের মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলো বাংলাদেশ। তবে, ছিলেন সা সাকিব আল হাসান। করোনার কারণে এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে দল।
সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে স্থগিত হয়ে গিয়েছে সেই সিরিজ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেতে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে। চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন সাকিব। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন তিনিও। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত অক্টোবরে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফিরলেও এখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি সাকিবের।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনাল না খেলেই শশুড়ের অসুস্থতাজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেলতে আজ সকালে দেশে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন সাকিব। সেই সাথে শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়াতে হতাশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘এই ফিরে আসাটা একটু অন্যরকম। শ্রীলঙ্কা সিরিজে যেতে পারি নাই। যে কারণে বেশ হতাশ ছিলাম। বাংলাদেশ সফর করার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধন্যবাদ৷ এই সিরিজের জন্য আমি বেশ উত্তেজিত।’
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই ও টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের অংশ হলেও বাংলাদেশ সফরে আসবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। গত কয়েকটা সিরিজ ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ দিন বায়ো বাবলে থাকার ধকল ও করোনার ভয়ে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১২ জন ক্রিকেটার।
তাই খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো করতে না পারলে সেটা বাংলাদেশের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন সাকিব। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ভালো করতে আশাবাদী বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘যে দুইটা দল দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সাথে যদি আমরা ভালো না করি তাহলে আমাদের জন্য হতাশার হবে। সে জায়গা থেকে আমি খুবই আশাবাদী যে আমাদের ভালো করা উচিত।’
চলতি মাসের ১০ তারিখে বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ তারিখ থেকেই অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সূচি
- ১৮ জানুয়ারি: ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ, ভেন্যু: বিকেএসপি, সাভার,
- ২০ জানুয়ারি: প্রথম ওয়ানডে, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,
- ২২ জানুয়ারি: দ্বিতীয় ওয়ানডে, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম,
- ২৫ জানুয়ারি: তৃতীয় ওয়ানডে, ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম,
- ২৮-৩১ জানুয়ারি: চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ, ভেন্যু: এম এ আজিজ স্টেডিয়াম,
- ৩-৭ ফেব্রুয়ারি: প্রথম টেস্ট, ভেন্যু: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম,
- ১১-১৫ ফেব্রুয়ারি: দ্বিতীয় টেস্ট, ভেন্যু: শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।