দিশা খুঁজে পেয়েছে মুম্বাই

টানা দুই পরাজয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল সর্বোচ্চ ৫ বার আইপিএল শিরোপা জেতা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আগের বারের পয়েন্ট টেবিলে একদম তলানিতে থেকে শেষ করা মুম্বাইয়ের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি তাই আবারো দেখতে বসেছিল সবাই।

তবে, দারুণভাবে ফিরে এসেছে রোহিত শর্মার দল। টানা দুই হারের পর হ্যাটট্রিক জয়ের দেখা পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। সেই যাত্রায় এবার তাঁরা ১৪ রানে হারিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে।

অবশ্য ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল মুম্বাইয়ের টসে হেরে। আর তাতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে এ দিন শুরুটা ভালই হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। পাওয়ার প্লে’র ফায়দা তুলে দুই ওপেনার ইশান কিষাণ আর রোহিত শর্মার সাবলীল ব্যাটিংয়ে দারুণ সূচনায় পায় মুম্বাই।

তবে এ দুই ওপেনার কেউই নিজের ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। রোহিত শর্মা ফিরে যান ২৮ রানে। আর ৩ চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানের ইনিংস সাজান কিষাণ।

অবশ্য এ দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের ইনিংসের ভিতটা গড়ে দেন ক্যামেরুন গ্রিন। অজি এ ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দারুণ সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন এ দিনেই। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এ ব্যাটার।

ক্যামেরুন গ্রিনের সাথে এ দিন শেষ দিকে এসে ১৭ বলে ৩৭ রানের দুর্দান্ত একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিলক ভার্মা। আর এই দুই ব্যাটারের কল্যাণেই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ ১৯২ রানের সংগ্রহ পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

১৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হ্যারি ব্রুক এ দিন ফিরে যান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। এর কিছুক্ষণ বাদে ব্রুকের পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠিও।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানো হায়দ্রাবাদকে এরপরে পথ দেখাতে শুরু করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। সাময়িক বিপদ কাটিয়ে এ ব্যাটারের ব্যাটিংয়ে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে হায়দ্রাবাদ।

তবে, এইডেন মার্করামের সাথে আগারওয়ালের জমে ওঠা জুটি ভেঙে যায় দলীয় ৭১ রানে। এরপর ১ রান যোগ করতেই আবারো উইকেট হারিয়ে বসে হায়দ্রাবাদ। এইডেন মার্করামের পর ৬ বলের ব্যবধানে আউট হয়ে ফিরে যান অভিষেক শর্মা।

৭২ রানে ৪ উইকেট হারানো হায়দ্রাবাদ অবশ্য ম্যাচে ফিরে আসে পরের জুটিতেই। এবার আগারওয়ালকে উইকেটে সঙ্গ দিতে শুরু করেন হেনরিখ ক্লাসেন। এ দুই ব্যাটারের জুটি থেকে আসে ৫৫ রান।

তবে, এরপরেই হায়দ্রাবাদ ম্যাচ জেতার পথ থেকে প্রায় দূরে সরে যায়। ক্লাসেন ৩৬ রানে আউট হওয়ার পর কিছুক্ষণ বাদে আগারওয়ালও ধরা দেন ব্যক্তিগত ৪৮ রানে।

ক্লাসেন, আগারওয়াল আউট হওয়ার পরই মূলত চালকের আসনে উঠে যায় মুম্বাই। শেষ দিকে যদিও মার্কো জেনসেন আর ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটিং আশা জাগিয়েছিল। তবে তা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমে যায় লক্ষ্য থেকে রান দূরে, ১৭৮ রানে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link