আরেকটি জয়। আরেকটি সিরিজ জয়। তবে এ ‘দুই’ জয়ই আসলো অনেকটা কাঠখড় পুড়িয়ে। অনেক উত্তেজনা, রোমাঞ্চকর মুহূর্ত উত্থানের মধ্য দিয়ে। তবে সকল অনিশ্চয়তা, স্নায়ুচাপ কাটিয়ে শেষ হাসিটা দেখা গেল বাংলাদেশ শিবিরেই।
সিরিজ জয়ের পথে এ ম্যাচের ভাগ্য অবশ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন আগের দুই ম্যাচের একাদশে জায়গা না পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের শেষ ১০ ওভারে তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আর তাতেই মসৃণ হয় সিরিজ জয়ের পথ। তবে আগের দুই ম্যাচে ব্রাত্য থাকা এ পেসার নাকি ম্যাচের আগের দিনই ঠিক করে রেখেছিলেন ৫ উইকেট নিবেন!
৫ উইকেট অবশ্য পাওয়া হয়নি। তবে ৪ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে এ কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৫ উইকেট নিব বলেই ভেবে রেখেছিলাম। সেটি না হওয়ায় কিছুটা হতাশ। তবে এখানে যেমন সমর্থন পেয়েছি, তাতে বাড়ির মাঠ বলেই মনে হয়েছে।’
ব্যাটহাতে এক সেঞ্চুরিসহ সিরিজে ১৯৬ রান করা শান্ত এ ম্যাচেই পেয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। আর তাঁর প্রথম উইকেটটাই ছিল এ ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্ট। কারণ হ্যারি টেক্টরের ঐ উইকেট নেওয়ার পরই ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। সিরিজ জেতার পথে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে দারুণ অবদান রাখা শান্তই অনুমিতভাবে সিরিজ সেরা হয়েছেন।
সিরিজসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে জানান, ‘শেষ কিছু দিনে আমি রঙ্গানা হেরাথে বোলিং সেশনে অংশ নিয়েছিলাম। আর সেটিই আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। এর সাথে মিরাজও আমাকে বোলিংয়ের সময় সহযোগিতা করেছে। সত্যিই দুর্দান্ত একটা সিরিজ ছিল আমার জন্য। এই সিরিজেই আমি প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি পেয়েছি। যারা মাঠে এসে সমর্থন দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
চেমসফোর্ডে সিরিজ জিতে উচ্ছ্বসিত দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এমন ম্যাচের ক্রাঞ্চ মোমেন্টে তামিমের মাথায় আসলে কি ঘুরছিল তা জানাতে গিয়ে টাইগার দলপতি বলেন, ‘৪০ ওভার পর্যন্ত শান্তকে বোলিংয়ে আনার কথা মাথাতেই ছিল না। আমি যে জেতার আশা করেছি, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে। একটা সময়ে ম্যাচ তো আমাদের হাত থেকে বেরিয়েই যাচ্ছিল। তবে ক্যাম্ফার আর টাকার আউট হওয়ার পর আমি বিশ্বাস করতে শুরু করি যে, এটা সম্ভব। আমি বোলিং ইউনিট নিয়ে সত্যিই গর্বিত। যেভাবে তাঁরা শেষে বোলিং করেছে, তা এক কথায় দুর্দান্ত।’