ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের দল কেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পেসার আরাফাত ভূঁইয়া। রবিন দাসের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটের কোনো দলের সাথে পেশাদার চুক্তি করলেন এই তারকা। মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য কেন্ট দলে ভিড়িয়েছে আরাফাতকে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলমগীর হোসেন ভুঁইয়ার দ্বিতীয় সন্তান আরাফাত। জন্ম বাংলাদেশে হলেও ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব আছে এই তরুণের। কেন্টের দ্বিতীয় একাদশের হয়ে আলো ছড়ানোর সুবাদেই মূল দলে ডাক পেয়েছেন এই পেসার। দলটির হয়ে এর মাঝেই তুলে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। গত সপ্তাহেই হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ৮১ রানে শিকার করেন চার উইকেট।
এছাড়া কেন্ট প্রিমিয়ার লিগে ব্ল্যাকহীথের নিয়মিত মুখ আরাফাত। সেন্ট লরেন্স অ্যান্ড হাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে চার উইকেট শিকারের স্পেল আছে তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ না হলেও গত ছয় বছরে সারে, এসেক্স এবং ডার্বিশায়ারের দ্বিতীয় একাদশের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি।
২০১৯ সালে এমসিসি ইয়াং ক্রিকেটার্সের হয়ে খেলার পাশাপাশি এবারের মৌসুমে খেলেছেন সাউথ এশিয়ান ক্রিকেট একাডেমির হয়ে। কেন্টের হয়ে মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে রীতিমতো স্বপ্ন পূরণের খুশিতে ভাসছেন এই পেসার।
তিনি বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা অবশেষে পূরণ করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। আমার এতদিনের পরিশ্রম কাজে লেগেছে। আমি কেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞ, বিশেষ করে দ্বিতীয় দলের কোচ মার্ক ডেক্কেরের প্রতি। তিনি আমার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। আমি আশা করি পারফরম্যান্স দিয়েও সবার আস্থার প্রতিদান দিতে পারবো।’
আরাফাত বলেন, ‘আমি ডাক্তার ট্ম ব্রাউনকেও ধন্যবাদ দিতে চাই। গত শীতকালের পুরোটা সময় জুড়েই তিনি বার্মিংহ্যামে আমার থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং প্র্যাকটিস করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সত্যি বলতে আমার এই অবস্থানে আসার পেছনে তাঁর অবদান ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
এর আগে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটের দল এসেক্সের সাথে পেশাদার চুক্তি করেন রবিন দাস। আরাফাত মূলত পেসার হলেও রবিন ছিলেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। কাউন্টিতে আলো ছড়ানোর পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) সুযোগ পেয়েছিলেন রবিন। যদিও বিপিএলে মানিয়ে নিতে না পেরে তেমন সুবিধা করতে পারেননি এই ব্যাটার।
আরাফাতের পেশাদার ক্যারিয়ারের সবে শুরু। মৌসুমের বাকি সময়টা ভালো করতে পারলে হয়তো কেন্টের মূল একাদশে নিয়মিতই দেখা যাবে এই বাংলাদেশি পেসারকে। কে জানে হয়তো ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জার্সিতেই তাসকিন-মুস্তাফিজদের পাশে বল হাতে আগুন ঝরাবেন বিলেতে বেড়ে ওঠা এই পেসার।