ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময়ের পুনর্বাসন কাটিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন জনি বেয়ারস্টো। আগামী ১ জুন থেকে শুরু হওয়া আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে ইংলিশ এ ক্রিকেটার আবারো মাঠে ফিরবেন।
শেষ ৮ মাসে ইংল্যান্ডের হয়ে ৬ টি টেস্টের পাশাপাশি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুটি আইপিএল আসর মিস করেছেন জনি বেয়ারস্টো। এবার সেই কঠিন সময়কে স্মরণ করেই মুখ খুলেছেন এ ক্রিকেটার। ইনজুরিতে থাকা অবস্থায় নাকি বেয়ারস্টোর পায়ের অবস্থা এতই খারাপ হয়েছিল যে, ভবিষ্যতে হাঁটতে পারবেন কিনা সেই শঙ্কাও ভর করেছিল তাঁর মাঝে!
গত বছর গলফ কোর্সে পা পিছলে বেয়ারস্টোর তিনটি হাড় ভেঙে যায়। একই সাথে তাঁর পায়ের গোড়ালিও সরে যায়। এরপরই তাঁকে যেতে হয় অস্ত্রোপচারের ছুরি কাঁচির নিচে। তবে সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার পরও ঠিক কবে মাঠে ফিরতে পারবেন তা নিয়ে ছিল তীব্র শঙ্কা। বেয়ারস্টো নিজেও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
সেই কঠিন সময়ের কথা টেনে তিনি বলেন, ‘আবার হাঁটতে পারব কি না, খেলতে পারব কি না, এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। এই সব সন্দেহগুলো আমাকে খুব ভুগিয়েছে। এখনো যেমন ভাবি, আবারও আগের মতো ফিরতে পারবো তো?’
অথচ চোটে পড়ার আগে ক্যারিয়ারের সেরা একটা সময় পার করছিলেন বেয়ারস্টো। সে বছর ১০ টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ব্যাটিং গড়ও ছিল ঈর্ষণীয়, ৬৬.৩১! এ ছাড়া তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৯ গড়ে করেছিলেন ১৪৭ রান।
সে সময়ে দারুণ ফর্মে থাকা বেয়ারস্টো দীর্ঘ বিরতির পর এখন পুরনো ছন্দেই ফিরতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে ইয়র্কশায়ারের হয়ে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে অংশ নিবেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এত বড় ইনজুরির কারণে অবশ্য মাঠে ফিরেও বেয়ারস্টোর কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। চাইলেও তিনি আগের মতো আর দৌড়াতে পারবেন না। তবে এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন তিনি। কারণ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মূল কাজটা উইকেটের পিছনে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সমস্যা হবে না বলেই মনে করছি। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে আমি ১০০ ওভার কিপিং করেছি। এখন পর্যন্ত ঠিকঠাকই লাগছে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিচ্ছি। এরপর অনুশীলন। এটা ধরে রাখছি। কারণ আমার নিজের সক্ষমতা, ম্যাচ খেলার ফিটনেসটা বুঝতে হবে। তাই ধারাবাহিকভাবে করছি। এখনো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখছি না। চোটের জায়গাটা যদি ফুলে উঠত, তাহলে বুঝতাম, হয়তো সমস্যা আছে। তাই নিজেকে ঠিকই মনে হচ্ছে এখন পর্যন্ত।’