অভিষেকের পর থেকেই বল হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের নিয়মিত পারফর্মার শাহীন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ইনজুরি যেন পিছু ছাড়ছে না এই তারকার। পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আমির তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পেসারদের বিশ্রাম না দিয়ে টানা ম্যাচ খেলানোর।
গত বছর থেকেই হাঁটুর ইনজুরিটা বেশ ভোগাচ্ছে শাহীনকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শরীর সায় না দিলেও কেবলমাত্র দলের স্বার্থ এবং মনের জোরে খেলে গেছেন। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পুরো বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেননি, মাঠ ছেড়েছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এর আগে তো গোটা এশিয়া কাপই মিস করেছেন ইনজুরির কারণে।
সে কারণেই কিনা মোহাম্মদ আমির পিসিবিকে পেসারদের টানা ম্যাচ না খেলিয়ে বরং রোটেশন পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বোর্ডের শাহীনের পরিস্থিতি দেখে শিক্ষা নেয়া উচিত। পাকিস্তানকে যদি তাদের সেরা বোলার ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে হয় সেটা মোটেই সুখকর কিছু হবে না।
আমির বলেন, ‘একটা সময়ে টিম ম্যানেজেন্টের বিশ্রাম দেয়া কিংবা রোটেশন পদ্ধতি নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। অবশেষে বোর্ডের বোধদয় হয়েছে, কিন্তু কবে? যখন আপনার সেরা তারকারা বারবার ইনজুরিতে ছিটকে যাচ্ছে।’
আমির আরো বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজন তারকা ইনজুরিতে আক্রান্ত ছিলেন। কয়েকজন তো হাফফিট থাকা সত্ত্বেও কেবল দলের স্বার্থে খেলে গেছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট এবং খেলোয়াড়দের এই ব্যাপারগুলো আরো সতর্কতার সাথে সামলানো উচিত। দিনশেষে আপনার লক্ষ্যটা কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নিজের সেরাটা দিয়ে লড়ে যাওয়া। আপনি চাইবেন কাজটা আরো ভালোভাবে করতে।’
গত কয়েকমাসে পারফরম্যান্স ছাপিয়ে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের মূল দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের ইনজুরি। শাহীন আফ্রিদি ছাড়াও দলের আরো বেশ কয়েকজন তারকা ইনজুরির কারণে মিস করেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব ম্যাচ।
উসমান কাদির তো বিশ্বকাপের আগেই ছিটকে গেছেন, তাঁর বদলি হিসেবে হাফফিট ফখর জামানের উপর বাজি ধরেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ফখরও টুর্নামেন্টের পুরোটা খেলতে পারেননি। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় পুনরায় ইনজুরির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার।
অন্যদিকে, তিন বছর আগে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ এনে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন আমির। যদিও পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নাজাম শেঠি দায়িত্ব পাবার পর পুনরায় জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল এই পেসারের।
কিন্তু, গত মাসেই নির্বাচক কমিটি জানিয়ে দিয়েছেন আমিরের সাথে নতুন করে যোগাযোগ হয়নি তাঁদের। ফলে অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তান জাতীয় দলে আমিরকে দেখতে পাবার সম্ভাবনা বেশ কম।