ঢাকা টেস্ট ২০০৭, দু:সহ সেই সময়ের কথা

২০০৭ সালের ২৫ মে। তখন ভারত কিংবা বাংলাদেশ – দু’দলের চেহারাই ছিল অন্যরকম। ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো দলের প্রথম চারজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করেন।

আরো আশ্চর্য ব্যাপার হলো, একটিও উইকেট না হারিয়ে প্রথম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (তৎকালীন ৪১৩, ভিনু মানকড় ও পঙ্কজ রায়ের করা) ভাঙার মাত্র ৬ রান দূরে থাকাকালীন প্রথম উইকেট হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের পতন হয়। কীভাবে? বলছি।

এই টেস্টে ভারতের হয়ে ওপেন করেন ওয়াসিম জাফর এবং দীনেশ কার্তিক, যারা ওপেনিং জুটিতে ১৭৫ রান যোগ করেন। এরপর কার্তিক ব্যক্তিগত ৮২ রানের মাথায় ক্র্যাম্পে আক্রান্ত হয়ে অবসর নেওয়ার পরে দ্রাবিড় নামেন। তারপর দলীয় ২৮১ রানের মাথায় (এখনও কোনও উইকেট পড়েনি) জাফরকেও ক্র্যাম্প অবসর নিতে বাধ্য করে, যদিও ততক্ষনে তাঁর সেঞ্চুরি (১৩৮) হয়ে গেছে। এরপর রাহুল দ্রাবিড় এবং শচীন টেন্ডুলকার প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ০ উইকেটে ৩২৬ রানে ব্যাট করে দিন শেষ করেন।

দ্বিতীয় দিনে ১২৯ রান করে দ্রাবিড় যখন আউট হন ভারতের প্রথম উইকেট হিসেবে, তখন ভারত মাত্র ছয় রান দূরে পঙ্কজ রায় এবং ভিনু মানকড়ের ৪১৩ এর ওপেনিং জুটির রেকর্ডটি ভাঙ্গার থেকে। এরপরে কার্তিক ফিরে এসে তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে কোনো দলের প্রথম চারজন ব্যাটারের সেঞ্চুরি করার রেকর্ড পূর্ণ হয়। ভারত বাংলাদেশের সামনে ৩ উইকেটে ৬১০ রানের পাহাড় চাপিয়ে ডিক্লেয়ার দেয়, সচিন টেন্ডুলকার ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন।

ভারত টেস্টটি ইনিংস ও ২৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।

অবশ্য এই ঘটনার বছর দেড়েক আগে পাকিস্তান সফরের প্রথম টেস্টেও দ্রাবিড় সেহওয়াগ জুটি খুব কাছাকাছি এসেও এই রেকর্ড ভাঙতে পারেননি, শেবাগ দলীয় ৪১০ ও নিজের ব্যক্তিগত ২৫৪ রানে আউট হয়ে যাওয়ায়। যদিও নিন্দুকেরা মনে করেন সমসংখ্যক বল খেলে রাহুল দ্রাবিড় ও বীরেন্দ্র শেবাগ অর্ধেক রান না করলে রেকর্ডটি আগেই ভেঙে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link