বিশ্বকাপের বাকি আর মাস চারেক। এদিকে ওয়ানডে ফরমেটেও দারুণ ফর্মে আছে পাকিস্তান। ক’দিন আগেও র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলো বাবর আজমের দল। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে তাই বাবর আজমের দলকে ফেভারিট না ধরে উপায় নেই।
পাকিস্তানেও বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও বর্তমানে বোলিং কোচ উমর গুল মনে করেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলা পেসারদেরই বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা উচিত।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গুল বলেন, ‘যদি আমাদের বোলিংয়ের দিকে দেখেন তাহলে নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমাদের যে পেস অ্যাটাক ছিলো সেটাকেই ধরে রাখা উচিত। এরাই বিশ্বকাপের জন্য আমাদের সেরা বোলার। তারা হলেন, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, ইহসানউল্লাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।’
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ায় সেখানে স্পিনাররাও পালন করবেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গুল তাই ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণকেও শক্তিশালী দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের স্পিন আক্রমণের কথা বলেন আর যেহেতু বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে তাই আপনার স্পিনারদের সাহায্যও লাগবে। আমাদের মোহাম্মদ নাওয়াজ, শাদাব খানদের মত সেরা অলরাউন্ডার আছে, আমার মতে আমাদের দারুণ একটি ভারসাম্যপূর্ণ বোলিং আক্রমণ আছে।’
বিশ্বকাপ জিততে তাই বোলারদের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাবেক এই পেসার। গুল বলেন, ‘আমাদের বোলাদের থেকে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা যদি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করি তাহলে ফলাফল আমাদের দিকেই আসতে পারে এবং আমাদের বিরাট একটা সুযোগ আছে বিশ্বকাপ জেতার।’
উমর গুল তাঁর বেছে নেয়া সেরা পাঁচ পেসারের মধ্যে শাহীন, নাসিম ও হারিসকে মূল একাদশে দেখতে চান। তিনি চান বোলারদের বৈচিত্র।
তবে মূল পেসারদের পাশাপাশি শক্তিশালী রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি করাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন গুল। আর সেই কারণেই মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও ইহসানউল্লাহকে স্কোয়াডে রাখার পক্ষে তিনি।
গুল বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমাদের প্রথম পছন্দ হবে শাহীন, নাসিম ও হারিস রউফ ত্রয়ী। কিন্তু আপনি যদি বেঞ্চের দিকে দেখেন তাহলে আপনার ইহসানউল্লাহ ও ওয়াসিম জুনিয়রকে দরকার হবে। আমার মতে, এশিয়া কাপে ইহসানউল্লাহকে সুযোগ দেয়া উচিত।’