জৈব সুরক্ষা বলয়ে ছাড় নয়

তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আজ ঢাকায় এসেছে ওয়েস্ট  ইন্ডিজ। করোনার কারনে ৩৮ সদস্যের বিশাল বহর নিয়ে এসেছেন ক্যারিবিয়ানরা। এই সিরিজ দিয়েই দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ।

এই সিরিজে করোনার কারণে কঠোর নিয়ম কানুনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে দুই দলকে। বিসিবি বলছে, এইসব নিয়মে তারা কোনো ছাড় দেবে না।

বাংলাদেশ সফরে খর্ব শক্তির দল পাঠিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত কয়েকটা সিরিজ ধরেই জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিতর ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। দীর্ঘদিন বায়ো বাবলে থাকার ধকল ও করোনার ভয়ে এই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা।

খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াডেও আঘাত হেনেছে করোনা। বাংলাদেশের বিমান ধরার আগে সর্বশেষ করোনা টেস্টে পজেটিভ হন পেসার রোমারিও শেফার্ড। রোমারিও শেফার্ডের পরিবর্তে ওয়ানডে স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে ২৪ বছর বয়সী পেসার কেইন হার্ডিংকে। ওয়ানডে স্কোয়াডে কেইন হার্ডিংকে অন্তর্ভুক্তি করার ফলে ওয়ানডে স্কোয়াডে অভিষেকের অপেক্ষায় এখন ৯ জন ক্রিকেটার।

আজ যারা ঢাকায় এসেছেন তাদের করোনা টেস্ট করার পর তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তিন দিন পর পুনরায় করোনা টেস্টে যারা নেগেটিভ আসবে তাদের অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হবে। ২০ জানুয়ারি ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে এক দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্যারিবিয়ানরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসার ৭ দিন পর তৃতীয় দফায় করোনা টেস্ট করা হবে তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনুশীলনে থাকা স্থানীয় নেট বোলার ও মাঠ কর্মীদের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের অভ্যান্তরে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে রাখা হবে। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর ২৩ জানুয়ারি তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে চট্টগ্রামে যাবে দুই দল। চট্টগ্রামে যাওয়ার পর সেখানে দুই দলেরই করেনা টেস্ট করা হবে।

করোনা প্রটোকল নিয়ে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন এই সফরের বায়ো বাবল পরিকল্পনা করার সময় প্রতিটা বিষয় তারা বিবেচনাতে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন অক্টোবরে ও নভেম্বরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ তাদের ধারণা দিয়েছে যে কি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে ইউনূস আরো বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে আমরা সত্যিই খুশি। মহামারীকালীন সময়ে সিরিজ আয়োজন করা অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এই সিরিজটি কোনও বাঁধা ছাড়াই শেষ করতে পারবো। আমরা যে কোন ধরণের সংকট মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমরা জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বায়ো বাবলে ইতিমধ্যে দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি।’

সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন জালাল ইউনূস। শুধু ক্রিকেটারই নয় করোনা টেস্ট করা হবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করা হবে সবার জন্যই।

তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের পরিকল্পনাতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু চুক্তিতে সব কিছু অন্তর্ভুক্ত নয়। আমরা পুরো সফরে কঠোর থাকবো। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো অনেক গুলো করোনা টেস্ট হবে। হোটেল কর্মী, মাঠ কর্মী, নেট বোলার ও বোর্ডের ফটোগ্রাফারদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link