কিছু আগুন নিভে গেলেও তাঁর দগদগে ধোঁয়া থাকে অনেকক্ষণ। তেমন এক আগুন ধরিয়ে দিয়ে তবেই, বাংলাদেশ সফরের ইতি টেনেছেন হারমানপ্রীত কৌর ও তাঁর দল।
বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে, হারমানপ্রীত কৌরের ঘটনা মিরপুরে আগুন ঝরিয়েছে। মাঠেই আউট হয়ে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন তিনি। পরে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সাথে ট্রফি ভাগাভাগির ফটোসেশনেও আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি কটুক্তি করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও। যেটার রেশ ছিল দু’দলের সংবাদ সম্মেলনেও।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘কিছু কথা হচ্ছিল। যে কারণে ওখানে থাকা উচিত মনে হয়নি। ক্রিকেট তো খুব রেসপেক্টের একটা জায়গা, ডিসিপ্লিনের জায়গা। এটা জেন্টেলম্যানের খেলা। ওখানে ওই পরিবেশ ছিল না।’
কি এমন বলেছিলেন হারমানপ্রীত, যাতে করে ট্রফি রেখেই দল নিয়ে চলে আসতে বাধ্য হলেন জ্যোতি। জ্যোতি নিজে এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। তবে, হারমানপ্রীত নাকি বলেছিলেন, ‘তোমরা বরং আম্পায়ারদের সাথেই ছবি তোলো। ওরাও তো তোমাদের হয়েই খেলেছে।’
হারমানপ্রীত সংক্রান্ত এসব ঘটনার জের ধরে তাঁর সাজা ধার্য করা হলেও এখন অবধি কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়নি আইসিসি।
তাঁর ম্যাচ ফি’র ৭৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তিনি চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। মানে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে ৫০ শতাংশ কাটা হয়েছে মেজাজ হারিয়ে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙার জন্য। আর বাকি ২৫ শতাংশ কাটা হয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য।
তবে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে কেন দেরি করছে আইসিসি – সেটা এখনও বোধগম্য নয়।