দু’দিন পিছিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। শুরু হচ্ছে ৩১ জুলাই থেকে। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটেই হবে ক্যাম্পের সকল আয়োজন। মূল লক্ষ্য থাকছে খেলোয়াড়দের ফিটনেস যাচাই। প্রায় ৩২ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে শুরু হবে জাতীয় দলের এই ক্যাম্প।
সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়রা থাকছেন, তা নিশ্চিত। এছাড়াও বাংলাদেশ টাইগার্স ও হাই পারফরমেন্স দলে থাকা খেলোয়াড়রাও অংশ নেবেন এই ক্যাম্পে। আগামী ৩ আগস্ট ক্যাম্পে থাকা সবাইকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।
ইয়ো ইয়ো টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে প্রতিটা খেলোয়াড়কে। মূলত খেলোয়াড়দের ফিটনেসের পরিস্থিতি পর্যালোচনাই করা হবে সেই টেস্টে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘ফিটনেস ক্যাম্পটা শুরু হচ্ছে, আগামীকাল থেকে। ৩ তারিখে ইয়ো ইয়ো টেস্ট আছে। আমরা দেখতে চাচ্ছি সব খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেলটা কোন জায়গায় আছে।’
তবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে কেবল ফিটনেস ক্যাম্প করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না বাংলাদেশ দল। যেহেতু বেশ লম্বা সময় ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকছে দল, তাইতো সবরকমের প্রস্তুতিই নিয়ে রাখতে চাইছে টাইগাররা। সে ধারাবাহিকতায় ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প।
তবে তার আগেই অথবা ২১-২২ জনের দল ঘোষণা করা হবে। যা আসলে এশিয়া কাপের প্রাথমিক দল হিসেবেই বিবেচিত হবে। নান্নু বলেন, ‘স্কিল ট্রেনিং শুরু হবে ৮ তারিখ থেকে। এর আগে আমরা একটা ২১ বা ২২ জনের একটা স্কোয়াড দিচ্ছি ৫-৬ তারিখের দিকে। ওরাই স্কিল ক্যাম্পটা করবে এশিয়া কাপের জন্যে।’
সেখান থেকেই এশিয়া কাপের জন্যে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করবে নির্বাচক প্যানেল। কিন্তু এতসব পরিকল্পনার মাঝেও তামিমকে নিয়ে কাটেনি ধোঁয়াশা। নির্বাচক প্যানেলকে এখনও অবগত করা হয়নি তামিমের সার্বিক পরিস্থিতি। অবশ্য তামিম ইকবাল রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যায়। এই সময়টুকু পার হওয়ার পরই আসলে তামিমের বিষয়ে মিলবে উত্তর।
তবে এ বিষয় নিশ্চিত, ফিটনেস ক্যাম্পে তামিম থাকছেন না। এমনকি স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্পের শুরুর দিকেও হয়ত তামিমের উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এ বিষয়ে নান্নু বলেন, ‘মেডিকেল টিম থেকে আমরা এখনও কোন আপডেট পাইনি। এখনও চিকিৎসাধীন আছে। আমরা (এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াড) রেডি করার আগে আমরা একটা রিপোর্ট পাবো তারপর এগোবো।’
এশিয়া কাপের আগে অন্তত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রস্তুতির রুপরেখা প্রস্তুত। দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় অবশ্য বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে থাকছেন ব্যস্ত। তবুও দোটানার মধ্যেই থাকছে দল। অধিনায়কের বিষয়টি নিয়েই যতসব সংশয়।
দ্রুতই সকল সংশয় কেটে যাবে গোটা দলের। একটা ইউনিট হয়েই মাঠের লড়াইটা শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ। সাথে থাকবে স্বচ্ছ এক পরিকল্পনা এবং বলিষ্ঠ এক নেতৃত্ব।