কে হবেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক? বিশ্বকাপে কে হবেন বাংলাদেশের নেতা? – এই প্রশ্নের জবাবটা এতদিন দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। হুট করে সেখানে যোগ হয়েছে আরেকটা নাম। তিনি হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মিরাজ অবশ্য জাতীয় দলের হয়ে অধিনায়কত্ব আগে কখনও করেননি। তবে, মিরাজের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নেহায়েৎ কম নয়। অনূর্ধ্ব- ১৯ দলের অধিনায়ক ছিলেন লম্বা সময়। ২০১৬ বিশ্বকাপে তাঁর অধীনেই বাংলাদেশ দল খেলে সেমিফাইনালে।
সেই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন মিরাজ। মানে, নিজের পারফরম্যান্স ধরে রেখে দলকে নেতৃত্ব দিতে জানেন মিরাজ। এটা যেমন একটা গুণ, তেমনি আরেকটা দিক থেকে তিনি এগিয়ে আছেন – সেটা হল দলের বাকিদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা।
এই মুহূর্তে সতীর্থদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মিরাজ। ফলে, বোর্ডের একটা মহল মিরাজকে তামিম ইকবালের ছেড়ে যাওয়া অধিনায়কের দায়িত্ব দিতে চান।
যদিও, এখন অবধি দৌঁড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন সাকিব। তিনি লম্বা সময়ে দলের নেতৃত্ব চান। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অধিনায়কত্বে তাঁর আগ্রহ নেই। সেক্ষেত্রে বিসিবি সাকিবকে দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দিতে পারে।
ওয়ানডেতে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল দুজন – মাশরাফি বিন মুর্জতা (৫০) ও হাবিবুল বাশার সুমন (২৯)।
তবে, আরও দু’টো বছর সাকিব অধিনায়ক হিসেবে দলকে সার্ভিস দিতে পারবেন কি না, সেটা বুুঝে নিতে চায় বিসিবি। সাকিবের বয়সটা একটা ফ্যাক্টর এখানে। অন্যদিকে, তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন। ফলে, তাঁকে কতটা পাওয়া যাবে সেটা নিয়ে সন্দিহান বিসিবি।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ফলে, সাকিব ছাড়া ‘বেটার’ কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে হাতে নেই।
অন্যদিকে, লিটনই এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক। তবে, লিটন দাসের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাই, বিশ্বকাপের মত আসরে তাঁকে আদৌ দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, বা তিনি নিজে দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কি না – সে নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আর এই মুহূর্তে লিটনের পারফরম্যান্সটাও একটা ইস্যু। তাই, তো লিটনের জায়গায় মিরাজের নামটাও উঁকি দিচ্ছে। একটা ব্যাপার মোটামুটি এখানে নিশ্চিত যে, দায়িত্ব যাকেই দেওয়া হোক না কেন – সেটা হবে দু’বছরের জন্য।