অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অবধারিত পছন্দ সাকিব আল হাসান। আজ বিসিবির বিশেষ বৈঠকে তাই সাকিব আল হাসানের নামটাই ঘুরে ফিরে আসবে। চূড়ান্তু ঘোষণাও চলে আসতে পারে।
তবে, বোর্ড সভাপতি এর আগে সাকিবের সাথে আলাপ করতে চান। জানতে চান সাকিবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। কারণ, বোর্ড সভায় সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে সাকিবের পক্ষেই সবগুলো ভোট যাবে।
আর সাকিবকেই সবচেয়ে আদর্শ অধিনায়ক মনে করে বোর্ড। ফলে, সাকিবের ইচ্ছা-অনিচ্ছার গুরুত্ব থাকবে। বিশেষ করে দল নির্বাচনে। অধিনায়ক সাকিব হয়ে গেলে এশিয়া কাপের দল হবে তাঁর রেসিপি মেনেই। আর এখানে সাকিবের পছন্দ বরাবরই কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের সাথে মিলে যায়।
সাকিব এই মুহূর্তে আছেন শ্রীলঙ্কায়। খেলছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। সেখানে বসেই বিসিবির সাথে কয়েক দফা আলোচনা হয়ে যাওয়ার কথা তাঁর।
অবশ্য ক্রিকেট অপারেশন্স সেটা নিশ্চিত করেনি। এই কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, বোর্ড সভাতেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। আর আপাতত তাঁদের ভাবনায় বিশ্বকাপ।
সাকিব অবশ্য এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ভাবনাা নিতে চান ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। বিসিবি তাঁকে সেই পর্যন্তই দায়িত্বটা দিতে চায়। ওই সময় গিয়ে সাকিবের বয়স হবে ৩৮। যা একটু খটকা আছে, সেটা সাকিবের ওই বয়স নিয়েই। ওই বয়সেও জাতীয় দলকে সার্ভিস দেবেন তো সাকিব?
এমনিতে পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডেতে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। ফলে, সাকিবের সামর্থ্য নিয়ে শঙ্কা নেই। শঙ্কা আছে তাঁর সম্ভাব্যতা নিয়ে।
সাকিবের ওপর চাপ কিছু কমানোর ভাবনাও আছে। এমন হতে পারে সাকিবের কাছে শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দায়িত্ব থাকল। সরিয়ে দেওয়া হল টেস্ট থেকে। সাকিব নিজেও টেস্টটা আজকাল খুব বেশি উপভোগ করেন না। এমনকি সাকিবের টেস্ট ছেড়ে দেওয়ার দাবি থাকলে সেটাও মেনে নিতে পারে বোর্ড।
আবার এমনও হতে পারে যে, তিন ফরম্যাটেই সাকিবের ডেপুটি একজনই হবেন। ফলে, সাকিব না থাকলেই তিনি দায়িত্ব নিতে পারেন। এতে করে তাঁর মধ্যেই নেতৃত্বের গুণ বিকশিত হবে। সেই ডেপুটিটা হবেন সম্ভবত লিটন দাসই।