বাংলাদেশ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব নিয়ে একটা তোলপাড় হয়ে গেল। অধিনায়কত্বটা যখন সাকিব আল হাসানের হাতেই উঠল, তখন তিনি দেশের বাইরে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা, খেলছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)।
অধিনায়কত্ব ইস্যুতে সাকিব মুখ খুললেন ভিনদেশে বসেই। এলপিএলের ম্যাচ চলাকালে সাকিব বলেন, ‘নেতৃত্ব আমার কাছে নতুন কিছু নয়, দলের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ। গত চার বছরে আমরা কতটা ভালো দল হয়ে উঠেছি।’
সাকিব মুখিয়ে আছেন বিশ্বকাপে ভাল করার অপেক্ষায়। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আবারও কোনো বিশ্বকাপ আসরে তাঁর নেতৃত্বে খেলবে দল। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ এই বিশ্বকাপে ভালো করার। আমরা খুব ভালো দল, সাদা বলের ফরম্যাটে আমরা দারুণ খেলছি। সবাইকে দেখানো উচিত আমরা কতটা ভালো দল।’
এলপিএলে সাকিব ব্যাট হাতে রান না পেলেও, বোলিংটা হচ্ছে তাঁর মন মতই। সাকিব বলেন, ‘আমার বোলিংটা বেশ ভালো হচ্ছে। তবে ব্যাটিংয়ে এখনও বড় রান পাইনি। তাছাড়া তেমন সুযোগও মেলিনি। যখন সুযোগ পাব আশা করি বড় ইনিংস উপহার দিতে পারব।’
জানিয়ে রাখা ভাল, ওয়ানডেতে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ওয়ানডে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। এরপর মাশরাফির অবর্তমানে আরও তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাই কোনো সন্দেহ নেই।
এই ৫০ টি ম্যাচের মধ্যে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল দুজন – মাশরাফি বিন মুর্জতাও হাবিবুল বাশার সুমন। তাঁরা জিতেছেন যথাক্রমে ৫০ ও ২৯ টি ম্যাচ।
২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে তিনটি জয় ও চারটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট নিয়ে অনন্য রেকর্ড গড়েন সাকিব।