আগের দুটো ম্যাচ ভাল যায়নি সাকিব আল হাসানের; ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোন বিভাগেই ভাল কিছু করতে পারেননি তিনি। সাকিবের অনুজ্জ্বল দিনে জেতেনি তাঁর দল গল টাইটান্সও, ফলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আজকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁদের জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঠিকই নিজের সেরা ছন্দে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান, স্বভাব বিরুদ্ধ টানা দুই ম্যাচের খারাপ সময় কাটিয়ে আবারও পারফর্ম করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে কিছু না করলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে গল টাইটান্সকে ম্যাচ জয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
টসে হেরে আগে বোলিং করতে নামা গল টাইটান্স অবশ্য শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল জাফনা কিংসকে। পাওয়ার প্লেতেই কাসুন রাজিথা ধ্বস নামিয়েছেন দলটির লাইনআপে। তিন ওভারের স্পেলে চার উইকেট তুলে নিয়ে শোয়েব মালিকদের একরকম ছিটকে ফেলেন এই লঙ্কান পেসার। তবে অভিজ্ঞ গুনারত্নে আর ওয়েল্লালেগে মিলে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
ঠিক সেসময় আক্রমণেই এসেন তাঁদের জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। নিজের করা প্রথম ওভারে এলবিডব্লুর ফাঁদে পেলে গুনারত্নকে আউট করেন তিনি। আর সেই ওভারে খরচ করেছিলেন মাত্র চার রান। পরের ওভারগুলোতে আর উইকেট না পেলেও একের পর এক ডট বল দিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে দেননি প্রতিপক্ষকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দিয়েছেন ছয় রান আর তৃতীয় ওভারে মাত্র এক। দিনের স্পেল শেষ করে সতেরোতম ওভারে আবারো আক্রমণে আসেন এই বামহাতি; সে ওভারেও হাত খুলতে দেননি ব্যাটারদের, মাত্র দুই রান নিতে পেরেছে তাঁরা।
সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের বর্তমান অধিনায়ক। পুরো ইনিংসে ১৫টি ডট করেছেন তিনি, বাউন্ডারি হজম করেছেন কেবল একটি।
সাকিব, রাজিথার পাশাপাশি তাব্রাইজ শামসির দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৮৯ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে তাওহীদ হৃদয় বিহীন জাফনা কিংস। অল্প রানের টার্গেট সহজেই টপকে গিয়েছে দাসুন শানাকার দল, ফলে সাকিব ব্যাট হাতে খুব একটা কিছু করতে না পারলেও সমস্যা হয়নি দলের। চার নম্বরে নেমে চার বল খেলে মাত্র দুই রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।
এদিন ম্যাচের আগে অবশ্য নিজের ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। তাঁর কাছে নেতৃত্বের ভার নতুন কিছু নয়, এবং এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী সেটা দেখানোই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার।