প্রতিভার পরিস্ফূরণ ঘটিয়েছিলেন সর্বশেষ আইপিএলেই। তবে এত তাড়াতাড়ি যে তাঁর জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলে যা, সেটি বোধহয় নিজেও ভাবতে পারেননি তিনি। ২০ বছর বয়সী তিলক ভার্মার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে গেল যেন চোখের পলকেই।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারত হেরেছে ৩-২ ব্যবধানে। তবে এ সিরিজে অনুজ্জ্বল ভারতের হয়ে ঠিকই উজ্জ্বল ছিলেন তিলক ভার্মা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। যেখানে বাঁহাতি এ ব্যাটারের ব্যাটিং গড় ছিল ৫৭.৬৬। স্ট্রাইকরেট টাও বেশ ঈর্ষণীয়, ১৪০.৬৫!
উইন্ডিজের বিপক্ষে এমন পারফর্মেন্সের পর এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন এ ব্যাটার। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের দীর্ঘ দিনের মিডল অর্ডার সমস্যা কাটাতে ১৫ জনের স্কোয়াডে চমক হয়ে ঢুকে যেতে পারেন তিলক ভার্মা।
গেল সপ্তাহে, ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেই ব্যাটিং লাইন আপের চার নম্বর পজিশন নিয়ে আক্ষেপের কথা শুনিয়েছিলেন। এমনিতে লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়াররা ৪ এবং ৫ নম্বর পজিশনের জন্য বিবেচনায় থাকলেও তাঁরা এখনো ম্যাচ খেলার জন্য ফিট নন। মূলত, মাঠ থেকে তাদের দীর্ঘ বিরতিই ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
ভারতের ভাবনায় অবশ্য বিকল্প রয়েছে। সুরিয়াকুমার যাদব ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন সাঞ্জু স্যামসন। তবে টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা সুরিয়াকুমার যাদব যেন ওয়ানডে ক্রিকেটের স্টাইলটাই রপ্ত করতে পারছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই ফরম্যাটে তিনি রয়েছেন রানখরায়। সাঞ্জু স্যামসন অবশ্য উইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচে ফিফটি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যাট হাতে তেমন ধারাবাহিক নন।
মূলত, এসব কারণেই মিডল অর্ডার নিয়ে পুরনো সমস্যা, দুশ্চিন্তা এখনও দূর হয়নি। তবে উইন্ডিজের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে চাপের মুখে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিলক ভার্মা। চাপের মুখে দারুণ সক্ষমতার কারণেই মূলত এ ব্যাটার শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ ভাবনায় চলে এসেছেন।
যদিও এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে পা পড়েনি এ ক্রিকেটারের। তবে ভারতীয় বেশ কিছু ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, এই বিশ্বকাপে তিলক ভার্মার সংযোজন ভারতের জন্য এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।
গুঞ্জন আছে, ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার নাকি তিলক ভার্মার ব্যাটিংয়ে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন। এমনটা সত্যি হলে, ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিলক ভার্মার ঢুকে পড়াটা সময়ের ব্যাপারই হবে। তবে বিশ্বকাপের আগেই রয়েছে এশিয়া কাপ।
আসন্ন এশিয়া কাপে ভারতের স্কোয়াডই তিলক ভার্মার বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে। যদি এশিয়া কাপে সুযোগ পান, তবে মিলে যেতে পারে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকারও সুযোগ। তবে এশিয়া কাপের দলের ঠাই না পেলে তিলক ভার্মার জন্য বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনাটা ক্ষীণই হয়ে দাঁড়াবে।