একপ্রকার ধরেই নেওয়া যায় বাংলাদেশ তাদের বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঠিক করে ফেলেছে। তেমনটা ভাবার প্রধান কারণ এশিয়া কাপের স্কোয়াড। ১৭ জনের সেই স্কোয়াডে খুব বেশি পরিবর্তন আসার সুযোগ নেই। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তাই দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তবে সেই ক্ষীন সম্ভাবনায় হয়ত নতুন আলোর সঞ্চার ঘটতে পারে।
এবারের বিশ্বকাপটা হচ্ছে দীর্ঘ সময় নিয়ে। প্রায় মাস দেড়ক সময় খেলোয়াড়দের থাকতে হবে বিশ্বকাপের চাপে। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ খেলবে মোট ৯টি ম্যাচ। ভাল কিছু হলে আরও দু’টি ম্যাচ যুক্ত হবে। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে খেলোয়াড়দের ইনজুরি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি থেকেই যায়। সেই চিন্তা মাথায় রেখে, বাংলাদেশ দল অতিরিক্ত তিন জন খেলোয়াড়কে সাথে করে উড়াল দেবে ভারতে।
এমন একটা গুঞ্জন ছিল বেশ আগে থেকেই। তবে এবার নতুন সংযোজন, ‘ব্যাকআপ ক্যাম্প’। প্রায় ৭-৮ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে হতে পারে সেই ক্যাম্প। বিশ্বকাপের সময় কোন খেলোয়াড় ইনজুরি আক্রান্ত হলে সেই ব্যাকআপ দল থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অন্য একজনকে। সেটাই সম্ভবত পরিকল্পনার অংশ। যদিও এখন অবধি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।
বিসিবির মিডিয়া ও কমিউনিকেন্স কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত অবগত নন। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারটা হয়তো ক্রিকেট অপারেশনস ভালো বলতে পারবে। কারণ এটা হয়তো তাদের কল। এখানে যারা আছে টিম ম্যানেজমেন্ট তারাই চিন্তা করবে। ওই জায়গাটা যদি কাউকে রাখা হয় বা যদি যদি কাউকে রাখার প্রয়োজন হয় তাহলে কোন প্লেয়ারের স্থলাভিষিক্ত কে হবে এটা তারাই ভালো বলবে। যেহেতু এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট বোর্ড থেকে আসেনি ওইটা যখন আসবে তখন অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।’
এবারের বিশ্বকাপে সবরকমভাবেই প্রস্তুত থাকতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশ্ব জয়ের সুবর্ণসুযোগ যদিওবা আসে, তা যেন কোন কারণেই হাতছাড়া না হয়। আর সেদিক বিবেচনায় হয়ত রিয়াদের একেবারে শেষ সুযোগটা থাকছে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার। তবে সেখানে থাকছে বেশ কিছু সমীকরণ।
যদি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ ৭-৮ জনের ব্যাকআপ ক্যাম্পের আয়োজন করে, তবে সেখানে রিয়াদ থাকবেন। মনগড়া নয়। অন্তত এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগ অবধি রিয়াদ এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলে ছিলেন। মানে ২০-২২ জনের দলের তার স্থান হয়েছিল। সুতরাং, ধরেই নেওয়া যায় এই ২০-২২ জনকে ঘিরেই সবরকম পরিকল্পনা করতে চাইছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
আর বিশ্বকাপ দলটি হবে ১৫ জনের। সেখান থেকেই স্বাভাবিকভাবেই ৬-৭ জন খেলোয়াড় বাদ পড়বেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হওয়া ক্যাম্প থেকে। আর সেই সদস্যদের একজন রিয়াদ। অতএব ব্যাকআপ ক্যাম্পের আয়োজন হলে রিয়াদ সেখানে থাকছেন।
তবে তেমনটা হলেই যে রিয়াদ খেলে ফেলবেন বিশ্বকাপ তা কিন্তু নয়। রিয়াদকে বিশ্বকাপের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। দলের নির্দিষ্ট পজিশনের খেলোয়াড় ইনজুরি আক্রান্ত হলেই তবে ডাক আসবে রিয়াদের। সেটার সম্ভাবনা অবশ্য ক্ষীনই বলা চলে। তবুও রিয়াদকে বিশ্বকাপে খেলতে দেখার ইচ্ছে পূরণ হলেও হতে পারে রিয়াদ ভক্তদের। তবে এসব কিছুই এখন সময়ের হাতে বন্দী।