বিরাট কোহলি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে যেন অধিনায়কদের আসা যাওয়া চলছে ভারতীয় ক্রিকেটে। ২০২২ সালের পর থেকে পাঁচজন ক্রিকেটারকে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছে।
কখনো বিশ্রাম, কখনো আবার ইনজুরির কারণে বারবার নেতৃত্বে বদল আনতে হচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।বিরাট কোহলির উত্তরসূরি হিসেবে তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। নিয়মিত ক্যাপ্টেন হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে তিনিই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
তবে, টাইট শিডিউলের অজুহাতে একাধিকবার বিশ্রাম নিয়েছেন এই ওপেনার; তাঁর অবর্তমানে হার্দিক পান্ডিয়া, লোকেশ রাহুলদের সাম্প্রতিক সময়ে টস করতে হয়েছে।
হার্দিক পান্ডিয়াকে অবশ্য এখন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কই বলা চলে। গত এক বছরে রোহিত শর্মা এই সংস্করণে খুব কমই খেলেছেন; তাই তো ভারতের টি-টোয়েন্টি দল সামলানোর দায়িত্ব অলিখিতভাবেই হার্দিক পান্ডিয়ার কাঁধে। আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের নেতৃত্বেও আছেন এই অলরাউন্ডার।
বিভিন্ন কারণ মিলিয়ে এদের ছাড়াও লোকেশ রাহুল, ঋষাভ পান্ত, জাসপ্রিত বুমরাহকে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরতে হয়েছে। নিতে হয়েছে দলের দায়িত্ব।
২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন রোহিত শর্মা কিন্তু সে সময় ইনজুরিতে পড়ায় তিন ওয়ানডে আর এক টেস্টে দায়িত্ব পালন করতে হয় তৎকালীন সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে।
একই বছর জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষেও টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০২২ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন এই ব্যাটার।
প্রোটিয়া সিরিজেই আবার ইনজুরিতে পড়েছিলেন লোকেশ রাহুল। সে সময় টি-টোয়েন্টিতে ক্যাপ্টেন হিসেবে অভিষিক্ত হন ঋষাভ পান্ত। জিততে না পারলেও এই ফরম্যাটে ভারতের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ক্যাপ্টেন হওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি।
আবার ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত টেস্ট খেলেছিল জাসপ্রিত বুমরাহের নেতৃত্বে। ম্যাচের আগ মুহূর্তে রোহিত শর্মা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় টস করতে এসেছিলেন বুমরাহ। তারপর ইনজুরির কারণে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গেলেও ফিরে আসার পর এবার টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক করা হয় এই ডানহাতিকে।
সব মিলিয়ে ২০২২ সালের শুরু থেকে পাঁচজন ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারকে অধিনায়কত্ব করতে দেখেছে টিম ইন্ডিয়া। অধিনায়কত্ব নিয়ে এমন মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা ড্রেসিংরুমের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। তবে এমন ঘটনা যে নিতান্তই দুর্ভাগ্য সেটাও মানতে হবে।
ইনজুরি, করোনার পাশাপাশি ব্যস্ত সূচিতে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়াটাও জরুরি। আবার দেড় মাস ব্যাপী ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) চলতে থাকায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের বাড়তি সময় খেলতে হচ্ছে; যার ফলে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে সবার মনে।