ক্যান্ডিতে একটা সময় তিনি দিনের অনুশীলনটা মিসই করতে চেয়েছিলেন। অন্তত, টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছিল না যে, মুশফিকুর রহিম অনুশীলনটা যেন অন্তত একদিনের জন্য বন্ধ রাখেন।
কারণটা পরিস্কার। আর কোনো উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ইনজুরি হলে সেটা আসলে পুষিয়ে দেওয়ার অবস্থায় নেই বাংলাদেশ দল। লিটন দাসের বিদায়ে এমনিতেই ব্যাক-ফুটে বাংলাদেশ। এখন মুশফিকেরও কিছু একটা হয়ে গেলে মুখ রক্ষার উপায়ও থাকবে না বাংলাদেশের।
এজন্যই তো বাংলাদেশ থেকে জরুরী ভিত্তিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল এনামুল হক বিজয়কে। বিজয়কে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে। টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন এমন একজন ডানহাতি উইকেটরক্ষকই চাই – এই চাহিদাপত্রের সাথে হুবহু মিলে যান এই বিজয়।
ম্যাচের আগের দিন সাকিব বলেন, ‘আমাদের আরেকজন বাড়তি উইকেটকিপার নেই, এটি একটি ব্যাপার। লিটন টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে, বিজয়ও টপ অর্ডারেই। যদি খেলার মধ্যে মুশফিক ভাইয়ের কোনো সমস্যা হয়, কনকাশন বা ছোটোখাটো চোটে পড়তে পারেন, দেখা গেল সেদিন তিনি কিপিংই করতে পারছেন না। যেহেতু নিয়ম আছে দ্বিতীয় উইকেটকিপার ম্যাচে না খেললেও কিপিং করতে পারবে, সেজন্যই বিজয়কে নেওয়া।’
সাকিবের কথাতেই পরিস্কার যে, মুশফিককে নিয়ে এবার বাড়তি সতর্ক বাংলাদেশ। আর যাই হোক, অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে যেন কোনোরকম ইনজুরি বা অসুস্থতা ছুঁতে না পারে সেদিকে মন দিচ্ছেন সাকিবরা। এমনকি কনকাশন হলে করণীয় কি – সেটাও ভেবে রাখা হয়েছে।
অবশ্য, তারপরও মুশফিককে অনুশীলন থেকে সরানো যায়নি। মিরপুরের অনুশীলনেই যিনি সবার আগে আসেন, ছুটির দিনেও অনুশীলন করেন – তাঁকে এমন মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে কি করে মাঠের বাইরে রাখা যায়।
বিজয়কে আনা হলেও তাঁকে আসলে রেখে দেওয়া হবে শেষ ভরসা হিসেবে। ইনিংসের সূচনা করবেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান তামিম। ক’দিন আগে এই শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচেও তারাই ওপেন করেন।