ফিল্ডিং নিয়ে অসন্তুষ্ট রোহিত

প্রত্যাশিত ফলাফলই হয়েছে ভারত বনাম নেপালের ম্যাচে; নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েই এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মতই এদিনও বৃষ্টি আঘাত এনেছিল। তবে এবার ফলাফল এসেছে ঠিকই, রোহিত পাউডেলের দলকে দশ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল।

তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে কোন পরীক্ষাই দিতে হয়নি। রোহিত, শুভমান দুজনে পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। মাত্র ৫৯ বলে রোহিত করেছেন ৭৪ রান, অন্যদিকে তরুণ গিলের ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ বলে ৬৭ রান।

আগের ম্যাচে ভাল করতে না পারলেও আজকের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট শুভমান গিল। ম্যাচ পরবর্তীতে এই ডানহাতি বলেন, ‘গত ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছি সেটা হতাশাজনক ছিল। আজকে তাই রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করে আসাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি এমন একজন ব্যাটসম্যান যিনি এরিয়ালি আক্রমণ করতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে আমি মাটিতে শট খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এজন্য আমাদের জুটি কাজে দিয়েছে।’

নেপালের বোলিং নিয়েও কথা বলেছেন ডানহাতি ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘নতুন বলে তাঁরা দারুণ বোলিং করেছে। কিন্তু আমরা জানতাম বল ভিজে গেলে ব্যাটিং সহজ হয়ে যাবে। ড্রেসিংরুমে সেভাবেই কথা হয়েছে।’

ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরুটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে সেট হয়ে যাওয়ার পরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞ ছিলাম।’ ফ্লিক সুইপ শটের ব্যাপারে অবশ্য অনিচ্ছাকৃত ছিল বলেই উত্তর দিয়েছেন রোহিত।

এছাড়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে এই ডানহাতি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা আগে ব্যাটিং করেছি, পরের ম্যাচে বোলিং। সবমিলিয়ে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি হয়েছে। এখনো কিছু বাকি, ইনজুরি থেকে অনেকে ফিরেছে তাঁদের সময় দরকার কিছুটা। হার্দিক, কিশানরা গত ম্যাচে ভাল করেছিল, আজকে বোলিংও ভাল ছিল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা প্রয়োজন।’

বড় দুই দলের সঙ্গে দুই ম্যাচ – হেরে গেলেও নেপালের জন্য এটা ছিল অভিজ্ঞতাময় জার্নি। তবে জয়ের জন্যই চেষ্টা ছিল দলের। ক্যাপ্টেন রোহিত পাউডেলের কণ্ঠেও ছিল জয়ের আক্ষেপ। এই ব্যাটার বলেন, ‘আমাদের ওপেনাররা ভাল করেছে, তবে মিডল অর্ডার আরো ভাল করতে পারতো। তাহলে হয়তো আরো ৩০/৪০ রান বেশি হতো। বোলিংয়ের সময় কন্ডিশন প্রতিকূলে ছিল, যদিও বোলাররা চেষ্টা করেছে ভাল করার।’

হেরে গেলেও নেপাল অনেক অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশে ফিরবে এবার। আর ভারতের নতুন লক্ষ্য এখন এশিয়া কাপের সুপার ফোর। বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচগুলো হতে পারে নিজেদের যাচাই করে নেয়ার আদর্শ মঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link