৩০ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৯ দিনের এ সময়কালে ১৩ টা ম্যাচ মাঠে গড়াবে এশিয়া কাপের মঞ্চে। গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরিয়ে যে ৪ টি দল সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে, তাদের আবার ফাইনাল বাদে সব মিলিয়ে খেলতে হবে ৫ টি করে ম্যাচ।
তার উপর হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ হওয়ায় ভারত বাদে প্রতিটা দলেরই ভ্রমণজনিত ধকল সইতে হচ্ছে। এশিয়া কাপের এমন ঠাসা সূচিতে যে ক্রিকেটাররা মানসিক অবসাদে পড়তে পারেন, সেটাই অনুমেয়। সম্প্রতি এশিয়া কাপের এমন সূচি নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহ। শুধু এশিয়া কাপের সূচি নয়, ফাইনালের মঞ্চে শিরোপা জয়ের উপরেও চোখ রাখছেন এ পেসার।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, এই সূচিতে খেলা এতটা সহজ নয়। পেসারদের জন্য তো এটি আরো কঠিন। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এটিকে মেনে নিতে হবে। নিজের সেরা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এমন গরমে খেলা কঠিন। তবে আমরা তো আর সূচি পরিবর্তন করতে পারব না। তাই আমরা নিজেদের দিকে নজর দিচ্ছি, যাতে করে আমাদের সবসময় ম্যাচ খেলার ফিটনেস থাকে।’
মুলতান, ক্যান্ডি, লাহোর থেকে আবারো শ্রীলঙ্কা। এবারের এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমনজনিত ধকল পোহাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। নাসিম শাহ অবশ্য এটিকে মেনে মূল ফোকাসটা রাখতে চান ম্যাচের দিকে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা হতে এখনো সময় আছে। আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কালকের ম্যাচে(বাংলাদেশের বিপক্ষে) আগে নজর দিতে চাই। এখান থেকে শেষটা ভাল করে শ্রীলঙ্কাতেও সেই ধারাবাহিকতা রাখতে চাই।’
লাহোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের পর এশিয়া কাপে পরবর্তী অংশের পুরোটাই হবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। লঙ্কান কন্ডিশনে হঠাতই মানিয়ে নেওয়াটা সমস্যা হবে কিনা এমন শঙ্কার উড়িয়ে দিয়ে নাসিম শাহ বলেন, ‘তাদের কন্ডিশন ব্যতিক্রম হলেও আমরা অভ্যস্ত। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কাতে আমরা টেস্ট খেলেছি। এমনকি লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও খেলেছি। তাই ওদের কন্ডিশনে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা আমাদের জন্য কঠিন হবে না বলেই মনে করছি। আর কন্ডিশন যেটাই হোক। আপনাকে সেরাটা দেওয়ার তাগিদ থাকতো হবে।’
সবশেষে এবারের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে নাসিম শাহ বলেন, ‘আমরা শিরোপা জিততে চাই। ফাইনালে যে প্রতিপক্ষেই আসুক না কেন, আমরা জিততে চাই।’