২০১১-এর ধোনি হবেন রোহিত?

ভারত তাদের ইতিহাসের শেষ বিশ্বকাপটা জিতেছিল তাদেরই মাটিতে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। এক যুগ বাদে এবারও বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ভারত। স্বাগতিক হয়ে আবারো ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখতে এবার মুখিয়ে আছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং।

সম্প্রতি রোহিত শর্মার কাছে একরকম আবদার করেই তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা এবার ২০১১ এর পুনরাবৃত্তি চাই। তখনও আমাদের উপর চাপ ছিল। এবারও আছে। চাপকে জয় করে শিরোপা জিততে হবে। আমরা কি এই চাপকে গেমচেঞ্জার হিসেবে কাজে লাগাতে পারি না?’

যুবরাজ সিং অবশ্য তাঁর এই চাওয়ার উত্তর পেয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থ বিরেন্দ্র শেবাগের কাছ থেকে। সাবেক এ ভারতীয় ওপেনার বলেন, ‘আমরা সেবার কখনো চাপে পড়িনি। বরং প্রতিপক্ষকে চাপের উপর রেখেছিলাম।’

এরপরই শেবাগ শেষ ১২ বছরের বিশ্বকাপ আসরগুলোর কথা টেনে বলেন, ‘শেষ ১২ বছর দেখো। স্বাগতিকরাই জিতেছে। ১১ সালে আমরা, ১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া আর ১৯ সালে ইংল্যান্ড। সে হিসেবে এবার আমরা দেখিয়ে দিব সবাইকে।’

২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পথে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন যুবরাজ সিং আর বীরেন্দ্র শেবাগ দুজনই। সেবারের বিশ্বকাপে ব্যাটিং, বোলিংয়ে সমান নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন যুবরাজ সিং। আর ঐ বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরেন্দ্র শেবাগ।

উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৭৫ রানের ইনিংস। শুধু ঐ ম্যাচই নয়, সিংহভাগ ম্যাচেই ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন শেবাগ। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ঐ স্কোয়াডের মধ্যে এবার শুধু বিরাট কোহলিই ২০২৩ বিশ্বকাপের দলে রয়েছেন।

এবারের দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আগের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য এক পাশে রাখলে এখনও বিশ্বকাপশূন্যই রয়েছেন রোহিত।

তাই শুধু যুবরাজ সিংয়ের আবদার মেটাতে নয়, সমগ্র ভারতবাসী আর নিজের অপূর্ণতা ঘোচাতে এবার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা নিশ্চিতভাবেই পেতে চাইবেন রোহিত শর্মা। আর সেটি হলে যে, কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনির পরই তাঁর নাম লেখা হবে বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়কদের তালিকায়।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link