দলের পেস আক্রমণের অন্যতম সেনানী এবাদত হোসেন ইনজুরির কারণে ইতোমধ্যে ছিটকে গিয়েছেন বিশ্বকাপ থেকে। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও মাংসপেশির চোটে খেলতে পারেননি এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডে। তাই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টিম ম্যানেজম্যান্টের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের ফিট রাখা।
সেই লক্ষ্যেই আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে স্কোয়াডের অনেক সদস্যকে বিশ্রাম দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মূলত ভারতে টুর্নামেন্ট চলাকালীন বারবার ভ্রমণ করতে হবে বাংলাদেশকে। এজন্য বিশ্বকাপের আগে বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিনায়ক সাকিব।
এছাড়া কিউইদের বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তিও পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন নির্বাচকরা। ফলে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে দ্বিতীয় সারির একটা বাংলাদেশ দলকে দেখতে পাওয়ার আভাসই দিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে আমরা আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করব। যদি সেখান থেকে এক বা দুইজন খেলোয়াড় পেতে পারি দলে ঢুকতে পারে, সেটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে এশিয়া কাপে যারা খেলেছেন, বিশেষ করে যারা বিশ্বকাপের জন্য নিশ্চিত তাদের নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বিশ্রাম দেওয়া যেতে পারে।’
অধিনায়কের কথার অর্থ হল, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়ক নিজে থাকবেন না। এর সাথে মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্তর মত কয়েকজনকে বিশ্রামে রাখা হবে। অধিনায়ক থাকবেন লিটন দাস।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বকাপের মত বড় টুর্নামেন্টে আমরা ইনজুরির ক্ষতি সহ্য করতে পারব না কেননা আমাদের বেঞ্চে খুব একটা শক্তি নেই। তাই বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড়রা ফিট এবং সুস্থ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইবাদত ইতোমধ্যে বাদ পড়েছে, এখন চাই বাকি চার পেসার ফিট থাকুক।’
এশিয়া কাপের বাইরে থাকা অন্যদের সুযোগ দেয়া নিয়ে কথা বললেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইস্যু এড়িয়ে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। রিয়াদের প্রসঙ্গে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘গত তিন সিরিজ থেকে রিয়াদ ভাই দলে নেই, তখন কিছু বলেননি এখন বলছেন। এটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক। আর শামীম, আফিফরা রিয়াদ ভাইয়ের জায়গায় আসেনি; হৃদয় এসেছে।’