নাটকীয় এক ঘটনাপ্রবাহ। সকল জল্পনা, কল্পনার রেশ থামিয়ে তামিমের বিশ্বকাপ না খেলার শঙ্কাটাই এখন সত্য। ভারতগামী ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে তামিম নেই।
তবে অদ্যাবধি, বিশ্বকাপ দলে তামিমের না থাকার নেপথ্যে যে ফিটনেস ইস্যু প্রধান কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছিল, তাতে যুক্ত হচ্ছে নতুন এক গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অদ্ভুত এক শর্তেই নাকি বেঁকে বসেছিলেন তামিম। তামিম অবশ্য ফেসবুক বার্তাতেও সেটার কথাই বলেছেন।
নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র জানাচ্ছে, বিশ্বকাপ দলে থাকা প্রসঙ্গে তামিমকে একটি শর্ত দিয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে, সেই ম্যাচে না খেলুক তামিম। এমনটাই চেয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। তামিম অবশ্য নিজে থেকে বোর্ড সভাপতির নাম নেননি।
এমন উদ্ভট প্রস্তাবে কিছুটা বিস্মিতই হয়ে পড়েন তামিম। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রস্তাব তিনি মেনে নিতে পারেননি। এর পরিবর্তে বিসিবি সভাপতি পরবর্তীতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে লোয়ার-মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করার শর্ত দেন। তামিমের কাছে এই শর্ত যেন আগেরটার চেয়েও গুরুতরই ছিল।
১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কখনোই যে তিনি ওপেনিং বাদে অন্য কোথাও ব্যাট করেননি। মোদ্দাকথা, বিসিবি সভাপতির এমন প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপটাই খেলতে চাননি তামিম। ফলে, এখানে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভূমিকা খুবই সামান্য। তামিম নিজেও ভিডিওতে কোথাও সাকিব আল হাসানের নাম নেননি।
তামিম যে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে চাননি, আর সেই কারণটা অজানা, তার সত্যতা মিলেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি পোস্ট সূত্রে। আর এই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে যাওয়ায় তামিমের বিশ্বকাপ না খেলার নেপথ্য কারণ হিসেবে ফিটনেস ইস্যুটাই বরং এখন নগণ্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তামিমের না থাকা প্রসঙ্গে নির্বাচক প্যানেলের যুক্তিতে মেডিকেল ইউনিটের পরামর্শ- সবটাই কি বানোয়াট কিংবা অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল আড়াল করার প্রচেষ্টা? তামিম ইকবাল অবশ্য আজই নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সবকিছু পরিস্কার করেছেন। তামিমের সেই ভিডিও বার্তায় অনেক বিস্ফোরক তথ্যই বের হয়ে এসেছে। তামিম নিজে অন্তত তাঁর ফিটনেস জনিত কোনো সমস্যা দেখেন না।
যদিও বিশ্বকাপ সামনে রেখে যে কোনো দলের জন্যই এমন ধোঁয়াশা একটি নেতিবাচক ব্যাপার। তবে এটা এখন এক প্রকার নিশ্চিতই, ফিটনেস ইস্যু নয়, বিশ্বকাপ দল থেকে তামিম বাদ পড়েছেন ভিন্ন কোনো কারণেই। আর সেটিই অগ্রগণ্য কারণ। ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তামিমও সেই কথাটাই বলেন।