দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেছেন। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এবারই প্রথম। প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫৯ টি ম্যাচ পরিচালনা করা সৈকত ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে।
তবে, মূল আম্পায়ার হিসেবে নামার অপেক্ষায় ছিলেন। শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে সেটাও হয়ে গেল। আম্পায়ার হিসেবে ব্যস্ততম দিনটািই কাটালেন তিনি। ম্যাচে দু’দল মিলে ৭৫৪ রান করে। এত রানের ম্যাচ বিশ্বকাপে এর আগে কখনও দেখাই যায়নি।
এবারের বিশ্বকাপে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে মোট ৫ টি ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি। এ ছাড়া ছাড়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার ও আরও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের এ আম্পায়ার।
এরপর ১৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান, ২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস, ২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ও ৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস-আফগানিস্তান ম্যাচেও অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করবেন ৪৪ বছর বয়সী এ আম্পায়ার।
বর্তমানে পেশায় আম্পায়ার হলেও শরফুদ্দৌলা অবশ্য একসময় পুরোদস্তুর মাঠের ক্রিকেটার ছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফিতে।
তখন, অবশ্য বাংলাদেশের ওয়ানডে স্ট্যাটাস ছিল না। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে চড়াতে পারেননি। তবে ১০ টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। তাতে দু’বার ফাইফারও রয়েছে সাবেক এ স্পিনারের।
অবশ্য ২০০০-২০০১ মৌসুমে খেলা সেই জাতীয় ক্রিকেট লিগই সৈকতের খেলা শেষ টুর্নামেন্ট ছিল। পিঠের ইনজুরির কারণে আর তিনি ক্রিকেটার হিসেবে ফিরে আরতে পারেননি। খেলা ছাড়ার পর তিনি বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন।
২০০৭ সাল পর্যন্ত সে চাকরিতেই তিনি বহাল ছিলেন। তবে এরপর সেই চাকরি ছেড়ে তিনি আম্পায়ারিংয়ের প্রতি মনোনিবেশ করেন। সেই থেকে তিনি আম্পায়ার হিসেবে ১৩ টেস্ট, ৮৫ ওয়ানডে ও ৫৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। আম্পায়ার হিসেবে সাফল্যের এ যাত্রায় এবার শরফৌদ্দুলা নাম লেখালেন বিশ্বকাপের মঞ্চে।
এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচ অফিশিয়ালদের তালিকায় রাখা হয়েছে ১৬ জন আম্পায়ারকে। যার মধ্যে ১২ জন এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। বাকি চারজনকে নেওয়া হয়েছে আইসিসি উদীয়মান আম্পায়ার প্যানেল থেকে। শরফৌদ্দুলা ইবনে সৈকত সেই চার জনেরই মধ্যে একজন।