শুভমান গিল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে আছেন হার্দিক পান্ডিয়া, লোকেশ রাহুলের মত তারকা – ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে তাই চোখ বন্ধ করেই বিশ্বসেরা বলা যায়।
কিন্তু লোয়ার অর্ডারের কথা উঠলেই চিন্তিত হতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে; বুমরাহ, সিরাজদের কাছ থেকে ব্যাটিংয়ে তেমন কোন অবদান পাচ্ছে না দল।
তাই তো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে নেটে বাড়তি ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন বুমরাহ, অশ্বিনরা। এতে অবশ্য একটা ব্যাপার স্পষ্ট, আট তারিখের ম্যাচে একাদশে থাকবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অজি লাইনআপে বাঁ-হাতি ব্যাটার থাকায় এই অভিজ্ঞ স্পিনারকে নিয়েই বোলিং আক্রমণ সাজাতে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
তিনি একাদশে থাকলে ব্যাটিংয়েও খানিকটা ভরসা পাওয়া যাবে। ১৬.৪৪ ব্যাটিং গড় আহামরি না হলেও, প্রয়োজনে উপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের উপযুক্ত সাপোর্ট দিতে পারবেন এই ডানহাতি।
এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সুবাদে মিডল অর্ডারে খেলার সুযোগও হয়েছে তাঁর, তাই চাইলে অশ্বিনের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতে পারবেন রোহিত শর্মা।
অন্যদিকে, রবীন্দ্র জাদেজার উপস্থিতি প্রায় নিশ্চিত। বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনের পাশাপাশি ফিনিশারের দায়িত্ব থাকবে তাঁর কাঁধে। কিন্তু প্রশ্ন জেগেছে নয় নম্বরে কাকে খেলাবে ভারত, কুলদীপ যাদব নাকি মোহাম্মদ শামি; তিন পেসার নাকি তিন স্পিনার কোন দিকে যাবে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
চেন্নাইয়ের পিচের কথা বিবেচনা করলে অবশ্য এগিয়ে থাকবেন কুলদীপ-ই। আগের চেয়ে তুলনামূলক জোরে বোলিং করায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারদের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। সেজন্যই চিপাকের স্পিন-বান্ধব উইকেটে এমন একজন চায়নাম্যান বোলারকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখতে চাইবে না কেউই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের একজন জানিয়েছেন, ‘কুলদীপ দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। এবং একাদশে দুজন অভিজ্ঞ ফিঙার স্পিনার থাকলে সে আরো বেশি কার্যকর হয়ে উঠবে। তাঁকে বাদ দেয়ার আসলে কোন কারণই নেই।’
ধারণা করাই যায় স্টিভ স্মিথদের বিপক্ষে স্পিন ত্রয়ী ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। সত্যি বলতে, শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চেন্নাই পিচের পুরো ফায়দা আদায় করে নিতে দ্বিধা করবে না ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।