ফিটনেস নিয়ে তেমন সুখ্যাতি নেই রোহিত শর্মার। তবে ভারতীয় এ অধিনায়ক নিজের ফিটনেসের ব্যাপারে ক্যারিয়ার জুড়েই যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থেকেছেন। যে কোনো টুর্নামেন্ট বা সিরিজের আগেই নিজেকে প্রস্তুত করতে এক রকম শৃঙ্খলার শিকলে বন্দী করে ফেলেন এ ক্রিকেটার। মাঠে নিজেকে উদ্দীপ্ত রাখতে অনুসরণ করেন নির্দিষ্ট ডায়েট। এ ছাড়া কার্ডিও, ওয়ার্কআউট নিয়েও নির্দিষ্ট করে সময় দেন রোহিত শর্মা।
কদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হয়েছেন রোহিত শর্মা। ছক্কার রাজ্যে এভাবে তাঁর রাজা হয়ে ওঠার রহস্য কি? মূলত, রোহিত শর্মা প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট নিজের পেশির ব্যায়াম করে থাকেন। ছুটি ব্যতিত প্রতিদিনই তিনি জিমে যান। আর তাতে করে, পেশি শক্তির একটা রসদ পেয়ে যান এ ক্রিকেটার।
নিজের খাদ্যাভাসেও বেশ সাবধানী রোহিত শর্মা। যথেষ্ট প্রোটিন, কার্বো হাইড্রেটের মিশ্রণেই তাঁর খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সাদা ভাতের পরিবর্তে খান লাল চালের ভাত। এ ছাড়া প্রোটিন হিসেবে তিনি গ্রিলড চিকেন অথবা মাছ খান। এ ছাড়া প্রতি বেলায় তাঁর খাদ্য তালিকায় সবজি থাকে।
প্রাত্যহিক ওয়ার্কআউটে রোহিত শর্মা প্রতিদিনই নিজের এক্সারসাইজে নতুনত্ব নিয়ে আনেন। কোনো দিন তিনি সাইক্লিং করে থাকেন, আবার কোনোদিন হাইকিং। তাছাড়া কার্ডিও কখনো বাদ দেন না। নিজের রানিং স্পিড বাড়ানোর জন্য নিয়মিতই দৌড়ান। আর জিমে বেঞ্চ পুল আপ, পুশ আপ স্কোয়াটসহ শক্তিবর্ধক নানা ড্রিলস অনুশীলন করে থাকেন।
এমনিতে কখনো ডায়েট ‘চিট ডে’ অনুসরণ না করলেও রোহিত শর্মা ঘুরতে ও খেতে বেশ পছন্দ করেন। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য সব সময় ক্যালরি ডেফিসিট করেন। যাতে করে শরীরে কোন চর্বি না জমে।
অবশ্য এরপরেও রোহিত শর্মার ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছেন। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব তো একবার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘রোহিত দুর্দান্ত ব্যাটার। কিন্তু আপনি যখন তার ফিটনেস নিয়ে কথা বলবেন, তখন প্রশ্ন তুলতেই হবে। তাঁর শরীরে অতিরিক্ত ওজন রয়েছে মনে হয়। অন্তত টিভিতে তাই দেখায়।’
অবশ্য ফিটনেস নিয়ে সমালোচিত হলেও রোহিত শর্মা তা বরাবরই তা পুষিয়ে দিয়েছেন মাঠের পারফরম্যান্সে। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরলেও পরের দুই ম্যাচে ১৩১ ও ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটারদের তালিকায় দুইয়ে আছেন তিনি।