জয়ে মোমেন্টাম ফিরে পেলো অস্ট্রেলিয়া

দুই দলই হেরেছিল নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ, ফলে একে অপরের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কা। তবে জয়ের এই লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। গত দুই ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে পাঁচ উইকেটের বড় জয় পেলো তাঁরা।

নিয়মিত অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ছাড়াই এদিন মাঠে নামতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। তবে বদলি হিসেবে টস করতে আসা কুশল মেন্ডিস ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলে, দারুণ সূচনা পায় লঙ্কানরা। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা এবং পাথুম নিশাঙ্কার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কোন জবাব জানা ছিল না। দুজনের জুটিতেই দলীয় রান তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে।

খানিক পরে দুই ব্যাটার পৌঁছে যান ব্যক্তিগত ফিফটির মাইলফলকেও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি নিশাঙ্কা, ফিরেছেন ৬১ রানে। ইনফর্ম কুশল মেন্ডিস এদিনও শুরুটা করেছিলেন ভালভাবেই, কিন্তু বাঁ-হাতি ওপেনার আউট হতেই সব এলেমেলো হয়ে যায়।

নতুন উদ্যমে আক্রমন শুরু করা অজি বোলারদের তান্ডবে বালির বাঁধের মত ধ্বসে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। একে একে ফিরে যান মেন্ডিস, সামারাবিক্রমার মত ব্যাটাররা; ফলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায় তাঁদের। ১৫৭ রানে এক উইকেট থেকে শেষপর্যন্ত ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। ওপেনাররা ছাড়া কেবল আসালঙ্কাই পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে।

আগের দুই ম্যাচে সেরা ফর্মে না থাকলেও এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন অ্যাডাম জাম্পা। একাই চার উইকেট শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে সব সমালোচনার জবাবও দিলেন এই লেগি।

টার্গেট ছোট, তবে চাপের মুখে থাকা অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটিই ছিল চ্যালেঞ্জিং। পঞ্চম ওভারে দুই অভিজ্ঞ ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ আউট হলে সেই চ্যালেঞ্জিং কাজটা আরো কঠিন হয়ে যায়। তবে মিচেল মার্শ হাল ধরেন শক্ত করে, তাঁকে সঙ্গ দেন মার্নাস লাবুশানে – দুজনের ৫৭ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে অজিরা।

কিন্তু ফিফটি করার পর মিচেল মার্শ রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়লে আবারো শঙ্কা জাগে। কিন্তু তরুণ জশ ইংলিশ পথ হারাতে দেননি দলকে। তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে জয় নিশ্চিত করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৫৮ রান করে তিনি আউট হলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং স্টয়নিস বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link